শান্তনু নস্কর, ক্যানিং: ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার ছবি। এবার ঘটনাস্থল ক্যানিং। প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে মহিলার মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভাসুর ও গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। গত বুধবারের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়। দুই ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন বছর চল্লিশের মহিলা। 


শ্বশুরবাড়ির পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে আপত্তি করায় স্বামীর সঙ্গেও অশান্তি চলছিল। এরই মধ্যে স্বামীর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, বুধবার জোর করে বিয়ে দিয়ে মহিলার মাথার চুল কেটে দেন ভাসুর ও গ্রামবাসীদের একাংশ। এ নিয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 


এর আগে কেরলের চেঙ্গানুর জেলাতেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যায়, সম্পর্কের অভিযোগে স্ত্রীর প্রেমিকের গোপনাঙ্গে গুলি চালান এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে তিরুবল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে চেঙ্গানুর পুলিশ।


পুলিশ জানিয়েছে, জখম ৪৫ বছরের ব্যক্তি মুণ্ডনকাভুতে অভিযুক্তের স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন। অভিযুক্ত (৪৬)-র সঙ্গে তাঁর স্ত্রী (৪০) বিবাহবিচ্ছেদের আর্জিও দাখিল করেছেন। কিন্তু গত শনিবার অভিযুক্ত মুণ্ডনকাভুতে আসেন এবং স্ত্রীর প্রেমিকের গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে এয়ার পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে দেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে তিরুবল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।


পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আঘাত সামান্য ভেবে আহত ব্যক্তি বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই গোপনাঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। এরপর তিনি আবার হাসপাতালে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার ব্যাপারে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। কারণ, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি।