রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং চলাকালীন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রোডাকশন কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১৯ জুলাই থেকে ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং চলছে বারুইপুরের পুরনো রাজবাড়িতে। গতকাল সন্ধেতেও সেই কাজ চলছিল। শ্যুটিং চলাকালীন লাইট স্ট্যান্ডে হাত দিতেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন এক প্রোডাকশন কর্মী। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, ৩ মাস আগে বিয়ে হয়েছে ওই যুবকের। গতকাল প্রথমদিন ভাইয়ের সঙ্গে ওয়েব সিরিজের প্রোডাকশনে কাজ করতে এসেছিলেন ওই যুবক। এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।


জানা গিয়েছে, রাজু মণ্ডলের বাড়ি কলকাতার বাবুরাম ঘোষ রোডে। গতকালই একদিনের জন্য প্রোডাকশনের কাজ করতে এসেছিলেন রাজু মণ্ডল ও তার ভাই রাজা মণ্ডল। মৃত যুবকের ভাই রাজা মণ্ডলের দাবি, তিনি লাইটের কেয়ারটেকরকে জানিয়েছিলেন যে একটি লাইট স্ট্যান্ডে সমস্যা হচ্ছে। তবে সেই কথায় কান দেননি অরিজিৎ দত্ত নামে কেয়ারটেকর।


রাজা মণ্ডলের অভিযোগ, কার্যত জোর করেই তাঁকে কাজ পাঠানো হয় রাজুকে। আর সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন রাজু মণ্ডল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। রাতে বারুইপুর থানার পুলিশ শ্যুটিং স্পটে পৌঁছন। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। হাসপাতালে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী শিল্পী, টেকনিশিয়ান ও প্রোডিউসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত লাইট কেয়ারটেকার ইন্দ্রজিৎ।


মৃত রাজু মণ্ডেলের পরিবার সূত্রে খবর। মাত্র তিনমাস আগেই বিয়ে করেছিল রাজু। শুরু হয়েছিল দাম্পত্য জীবন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীও গর্ভবতী। সব মিলিয়ে শোকের ছায়া রাজুর পরিবারে। স্বাভাবিকভাবেই রাজু মণ্ডলের আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়না