কলকাতা: একসঙ্গে দেশের ১২টি রাজ্যে নোটের আকাল। দিকে দিকে এটিএম থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর এই নোট-সঙ্কটের আঁচ এসে লেগেছে বাংলার গায়েও। জেলা থেকে কলকাতা। বহু জায়গাতেই নোট-শূন্য এটিএম। কোথাও ঝুলছে no cash বোর্ড। কোথাও স্ক্রিনে ফুটে উঠছে অন্য এটিএমে যাওয়ার পরামর্শ।
যেমন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের পাঞ্জিপাড়ায় বহু এটিএমে টাকা নেই। রায়গঞ্জ শহরে অধিকাংশ এটিএম থেকেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। একই ছবি হাওড়াতেও। সালকিয়া, ঘুসুরি, লিলুয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে নোটের জন্য হাহাকার। হাওড়া ময়দান এলাকায় দশটি এটিএম রয়েছে। সেখানেও অমিল নোট। হয়রানির শিকার বহু মানুষ।
ব্যতিক্রম নয় কলকাতাও। চিংড়িঘাটায় ক্যামেরাবন্দি হল শাটার নামানো এটিএমের ছবি। বেনিয়াপুকুর থিয়েটার রোড ক্রসিংয়েও একই ছবি ধরা পড়ল। এসবিআই এটিএমের শাটার নামানো। লাভ হল না ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এটিএমে গিয়েও। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের একটি এটিএমে টাকা বেরোলেও, পাশেরটি অবশ্য নোট-শূন্য। বন্ধ ছিল একডালিয়ায় এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের এটিএমও।
এই সব ছবি দেখে, অনেকেরই নোটবাতিলের জেরে হওয়া ভোগান্তির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। নোট-আকালের খবরে অনেকেরই ঘুম উড়েছে। অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন এটিএম-এ। প্রয়োজনের থেকে বেশি টাকা তুলে রাখছেন। যাতে টাকা না পাওয়া গেলেও, ক’টা দিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। অনেকের আবার মনে পড়ে যাচ্ছে নোট বাতিলের পরে টাকার হাহাকারের কথা।
কিন্তু কেন এরকম পরিস্থিতি তৈরি হল? কেন এটিএমে-এটিএমে ঘুরলেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে না?? সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সবাই এখন বলছে আতঙ্কের কিছু নেই। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যদিও ভুক্তভোগীদের অনেকেই বলছেন, নোট বাতিলের পরও তো এরকমটা বলা হয়েছিল। কিন্তু মানুষের অভিজ্ঞতা হয়েছিল পুরোপুরি অন্যরকম।