কলকাতা: তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের চিঠি পাঠানোয় কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীকে দলনেত্রীর চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে জেলে পুরুন।
নোট বাতিলের প্রতিবাদে প্রায় প্রতিদিনই মোদী সরকারকে আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর সুরেই, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মোদি সরকারকে নিশানা করে সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদরাও।
এই প্রেক্ষাপটে সংঘাতের পরিস্থিতি নয়া মাত্রা পেয়েছে সিবিআইয়ের নোটিস ঘিরে। রোজভ্যালিকাণ্ডে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়ে তলব করেছে তারা। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। আমাকে অ্যারেস্ট করুন না। হাজার বার প্রতিবাদ করব। অনেক চক্রান্ত করেছেন। যান চ্যালেঞ্জ করলাম, ক্ষমতা থাকলে সবাইকে জেলে পুরুন। আপনি চুরি করেছেন হাজার বার বলব। ডিমোনেটাইজেশন নিয়েও এদিন সোচ্চার ছিলেন মমতা। বলেন, নোট বাতিল একটা বিগ স্ক্যাম। পাঁচ কোটি লোক বেকার হয়ে গিয়েছে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই।
মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদকে ফ্যাক্স ও ই-মেল মারফৎ‍ তলব করে সিবিআই। বলা হয় হাজিরা দিতে হবে সিজিও কমপ্লেক্সে। সূত্রের খবর, এরপরই মমতার সঙ্গে কথা বলেন সুদীপ। এবিপি আনন্দকে তিনি জানান, দুপুরে সিবিআইয়ের ফোন এসেছিল। বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার তাদের দফতরে যেতে বলেছে। কিন্তু কেন, তা জানায়নি। আমি বলেছি, মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে ফিরেছি, এত কম সময়ের নোটিসে যাওয়া সম্ভব নয়।আমার অন্য প্রোগ্রাম আছে।
এ ভাবে সিবিআই তলব করায় মঙ্গলবার ট্যুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখেন, আমাদের লোকসভার নেতাকে সিবিআই ৩ বার ফোন করেছে। বিজেপি এই ধরনের প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে? এসব করে নোট-বাতিলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই থামানো যাবে না।
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মমতা নোট বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। জেলে ভরার হুমকি দিয়ে এ সব বন্ধ করা যাবে না।
তৃণমূলের প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ মানতে রাজি নয় বিজেপি। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি সত্যিই প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে এত মসণভাবে কি তৃণমূল ফের ২০১৬-য় ক্ষমতায় আসত? দলের আরেক নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কখন সিবিআই কাকে তলব করবে সেটা তো নিয়ম মেনে চলে। আগেই তো ডেকেছিল। জেনেবুঝেই পলিটিসাইজড করছে।
সারদার মতো রোজভ্যালিকাণ্ডেও তদন্ত করছে সিবিআই। সেই সূত্রেই, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর তাকে ঘিরেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।