কলকাতা: প্রথমে তাপস পাল, তারপর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।রোজভ্যালিকাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে তৃণমূলের দুই সাংসদ। সূত্রের দাবি, রোজভ্যালিকাণ্ডে দু’জনের যোগ নিয়ে গোয়েন্দাদের কাছে এত তথ্য ছিল যে, জেরার মুখে অস্বীকার করার কোনও জায়গাই ছিল না। তবে অনেকেই জানতে চাইছেন, সিবিআই এত খুঁটিনাটি তথ্য পেল কোথা থেকে?

গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, খবর মিলেছে ঘোড়ার মুখ থেকে। অর্থাৎ এক্কেবারে রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু থেকে। সূত্রের খবর, গ্রেফতারির পর একটা সময়ে গৌতম কুণ্ডু বুঝে যান যে, যাঁরা তাঁকে একটা সময়ে নিরাপত্তা দেবে বলেছিলেন, তাঁরা আদতেই সেটা দিতে পারবে না। আর তারপরই তিনি গরগর করে সব তথ্য উগরে দেন।

রোজভ্যালিকাণ্ডে কার কী ভূমিকা, কারা প্রভাব খাটিয়ে রোজভ্যালি থেকে সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন, রোজভ্যালিকে কারা সাহায্য করেছেন--- সবই।

গোয়েন্দাদের দাবি, এই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা ঘুঁটি সাজিয়েছেন। তারপর পৌঁছেছেন তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত। সিবিআই সূত্রে দাবি,ডিরেক্টর হিসাবে তাপল পাল কী কী সুবিধা পেয়েছেন? তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে কী সুবিধা পেয়েছেন? সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী কী সুবিধা দেওয়া হয়েছে? এসবই জানিয়েছেন খোদ রোজভ্যালির কর্ণধারই।

সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, গৌতম কুণ্ডুর বয়ানের উপর ভিত্তি করে এক মন্ত্রী,একটি পুরসভার চেয়ারম্যান,এক মন্ত্রীর আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে।

অনেকে অবশ্য প্রশ্ন তুলছেন, শুধু গৌতম কুণ্ডুর বয়ানের ভিত্তিতে কি এই মামলা সাজানো যাবে? সিবিআই সূত্রে দাবি, তাঁদের হাতে প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই তথ্যপ্রমাণ আছে। আরও নথি জোগাড়ের কাজ চলছে। এই প্রেক্ষিতে তাপস-সুদীপের পর রোজভ্যালি মামলায় সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আর কারা কার উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।