মুখ্যসচিব বলেছেন, ‘কলকাতা ও জলপাইগুড়িতে এসেছে কেন্দ্রের দুটি দল।কেন এসেছে তা স্পষ্ট নয়।কীভাবে বাছা হয়েছে এলাকা, জানি না।শেষ মুহূর্তে রাজ্যকে জানানো হয়েছে।গাইডলাইন না মেনেই এলাকায় গেছে কেন্দ্রীয় দল।কোথাও এসএসবি, কোথাও বিএসএফ-কে নিয়ে গেছে কেন্দ্রীয় দল।
সন্ধেয় নবান্নে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় দল।কেন্দ্রীয় দলকে ডেকে পাঠালেন মুখ্যসচিব। এরপর কলকাতার দলটি পৌঁছল নবান্নে।
আর একটি দল রওনা হয়েছে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে।
যদিও কেন্দ্র আগেই জানিয়েছে, কলকাতা সহ রাজ্যের ৭টি জেলায় ঘুরবেন পর্যবেক্ষকরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, এ রাজ্যে বাজার, রেশন দোকান, ব্যাঙ্কের বাইরে সামাজিক দূরত্ব না মেনে দীর্ঘ লাইন, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্যদের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনা এবং ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক গাড়ি যাত্রী সহ যাতায়াতের মতো লকডাউন বিধিভঙ্গের একাধিক ঘটনা ঘটে চলেছে। কেন্দ্রের মতে, এর জেরে হটস্পট বলে চিহ্নিত বা সম্ভাব্য হটস্পটগুলিতে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। কেন্দ্রের দাবি, বিধিভঙ্গের ফলে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙে কড়াকড়ি না করলে সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিতে পারে। এই কারণেই বাংলার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ দিতে এবং জনস্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারকেও পূর্ণাঙ্গ পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। এক্ষেত্রে প্রত্যাশিত যে, রাজ্যই কেন্দ্রীয় দলকে পরিদর্শনের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেবে, জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
'আমরা সমস্ত গঠনমূলক পরামর্শকে স্বাগত জানাচ্ছি, বিশেষ করে কোভিড-১৯ সঙ্কট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা বলছে। তবে কেন্দ্র কীসের ভিত্তিতে, ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনবলে পশ্চিমবঙ্গের এবং সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় দল পাঠাচ্ছে, সেটা পরিষ্কার নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে আমার আর্জি, কীসের ভিত্তিতে এটা করা হচ্ছে, তা আমাদের জানানো হোক। যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেখালে, আমরা এনিয়ে এগোতে পারব না। কারণ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।' ট্যুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ হচ্ছে। যখন রাজ্য সরকারের কাজে সহযোগিতা করা উচিত, তখন এ ধরনের আচরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, রাজ্যে মানা হচ্ছে না লকডাউন, পর্যবেক্ষক দল পাঠানো নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।