বিজেন্দ্র সিং, দীপক ঘোষ ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা:  ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের প্রায় ৬ মাস পার। কিন্তু, সেই ধাক্কা আজও সামলে উঠতে পারেননি উপকূল এলাকার বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি পূরণে বাংলার জন্য আরও ২ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


শুক্রবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড কমিটি বৈঠকে ঠিক হয়,বাংলা-সহ ৬ রাজ্যকে ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পূরণের জন্য আরও অর্থ সাহায্য করা হবে।রাজকোষ থেকে ৬ রাজ্যের জন্য মোট ৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।এর মধ্যে বাংলার জন্য বরাদ্দ, ২ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।

ওড়িশা,মহারাষ্ট্র,কর্ণাটক,মধ্যপ্রদেশ  এবং সিকিমকেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অর্থ সাহায্য করা হয়েছে, তবে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ বাংলার জন্যই।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে কয়েকমাস আগে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র নতুন করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করতেই, তা নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।  দলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন,  এরপর আর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলতে পারবে  না তৃণমূল।  এর আগে টাকা মেরে দিয়েছিল। এটা যেন ক্ষতিগ্রস্তরা পায়।

তৃণমূল অবশ্য এখনও বঞ্চনার অভিযোগ থেকে পিছু হঠতে নারাজ। তৃণমূল বিধায়ক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন,ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।অনেক আগে কেন্দ্রের টাকা চলে আসার কথা ছিল। রাজ্যের তো ৫৪ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে, সেটা এখনও পাওয়া যাচ্ছে না।

২০ মে বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছিল ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। তার ঝাপটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে।

ঘূর্ণিঝড়ের পর বাংলায় ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে নিয়ে আকাশপথে এলাকা পরিদর্শনের পর, এক হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন। যদিও, সেই আর্থিক সাহায্য একদমই যথেষ্ট নয় বলে বারবার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র নতুন করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণার পরও সেই টানাপোড়েন অব্যাহত।