দার্জিলিং: পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এবার পাহাড়ে শিশু ও কিশোরদের পথে নামাল মোর্চা। যা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিষয়টিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।
কারও বয়স ৪, কেউ ৫, কিম্বা ৬। কেউ মা-দিদির কোলে চেপে, কেউ বা টলোমলো পায়ে হেঁটে চলেছে পাহাড়ি পথে। খালি গায়ে, লোহার শিকল পরে একই পথে পাহাড়ের কিশোরেরা। সবার দাবি একটাই, চাই গোর্খাল্যান্ড!!!
যদিও, শিশু-কিশোরদের নিয়ে এই আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। ওরা যা করছে তা অগণতান্ত্রিক।
অন্যদিকে, পাহাড়ের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার কথা জানিয়ে মোর্চার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও।
এসবের মধ্যেই বেলা গড়াতে উত্তাপ ছড়ায় পাহাড়ে। পাতলেবাসে মোর্চার বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সিংমারিতে পুলিশের হাতে আটক হন মোর্চার কালিম্পংয়ের জেলা কমিটির সভাপতি আর বি ভুজেল ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা স্যামুয়েল গুরুঙ্গ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যা ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দার্জিলিং সদর থানা ঘেরাও করেন নারী ও যুব মোর্চার শতাধিক কর্মী সমর্থক।
মোর্চা মুখপাত্র বিনিতা রোকা বলেন, রাজ্য সরকার নতুন করে আইপিএস দের পাঠাচ্ছে, তারপরই আমরা দেখছি নেতাদের ধরা হচ্ছে। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি। এখনই ছাড়তে হবে, না হলে যা খুশি হতে পারে।
ঘণ্টাখানেক পর অবশ্য থানা থেকেই জামিন দেওয়া হয় ২ মোর্চা নেতাকে। কালিম্পঙের মোর্চা সভাপতি আর বি ভুজেল বলেন, পাতলেবাসে বৈঠক ছিল গুরুঙ্গের সঙ্গে, আননেনেসারিলি ডিটেইন্ড বাই দ্য পুলিশ, নো রিসন, দেয়ার ওয়াজ নাকাবন্দি টাইপ ইন সিংমারি।
যদিও, পুলিশের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির কারণেই ২ মোর্চা নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরা হয়েছিল। পাহাড়ে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভোট নিয়ে আগেই হুঁশিয়ারি শোনা গেছে মোর্চা নেতাদের গলায়।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফার সর্বদলীয় বৈঠকে বসছে মোর্চা। সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয় সেইদিকে তাকিয়ে বিভিন্ন মহল।