কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকার ব্যবসায়ী চন্দন মাজীর সোনা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় এবার গ্রেফতার দাসপুর থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ রথ। বর্তমানে তিনি বেলদা থানার ওসি ছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে তোলা হবে ঘাটাল আদালতে। চন্দন মাজীর করা এফআইআরে নাম ছিল প্রদীপ রথের। অভিযোগ ওঠার পরই ক্লোজ করে দেওয়া হয় তাঁকে।
অন্যদিকে, এই মামলায় এবার প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের ব্যাঙ্ক লকার খুলে তল্লাশি চালাতে চায় সিআইডি। সূত্রের খবর, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘাটাল আদালতে বিচারকের কাছে সিআইডি আবেদন জানায় যে, তদন্তের স্বার্থে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সাদার্ন অ্যাভিনিউ শাখায় থাকা ভারতী ঘোষের দু’টি লকার খুলে তল্লাশি চালানো প্রয়োজন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, লকারের মধ্যে লুকিয়ে রাখা আছে তদন্তাধীন বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন নথি। থাকতে পারে টাকা ও সোনাও।
অন্যদিকে, সিআইডির এই পদক্ষেপে বেজায় ক্ষুব্ধ ভারতী ঘোষ। বেশ কিছুদিন পর সোমবার সন্ধ্যায় একটি অডিও বার্তায় রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন সিআইডি-কে। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার বলেন, এরকমই করতে করতে আমার ব্যাঙ্ক লকার খুলবে বা ভাঙবে, এমন অর্ডার না কি নিয়ে এসেছে। আরে ভাই, ১৯৯৪ এ আমি পুলিশে যোগ দেওয়ার আগে, ২৪ বছর আগে, আমি আমার অ্যাসেট স্টেটমেন্ট সরকারকে দিয়েছিলাম, যাতে লেখা আছে আমার বাবা মধুপুরের জমিদার বাড়ির বড় ছেলে। আমি জমিদার বংশের মেয়ে, আমার ৭৫ তোলা সোনা আমাকে বিয়ের সময় দিয়েছিল। তারও বিবরণ আমি আমার অ্যাসেট স্টেটমেন্ট-এ দিয়েছি। তাহলে এবার আমার লিগাল ও ইনকাম ট্যাক্স ডিক্লেয়ার্ড সোনা দেখবে এবং তুলে নিয়ে যাবে। তার জন্য সিআইডি তৈরি হচ্ছে।
যদিও সিআইডি-র তরফে কেউই এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। ভবানীভবন সূত্রে খবর, দিন দু’য়েকের মধ্যেই আদালতের নির্দেশ মাফিক ব্যাঙ্কের লকার খুলে তল্লাশি চালাবে সিআইডি। এই বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকেও জানিয়ে দিয়েছেন গোয়েন্দারা।