উত্তর ২৪ পরগনা: রাতে হঠাৎ‍ ঘরে আগুন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু মা ও মেয়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে বাবা। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
দত্তপুকুরের সদরপুর এলাকার বাসিন্দা বছর আঠাশের কুশ ঘোষ। পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে, স্ত্রী কাজল (২২) এবং আড়াই বছরের মেয়ে সায়ন্তিকাকে নিয়ে ঘরে ছিলেন কুশ। রাত ১১টা নাগাদ হঠাৎ‍ সেই ঘরে আগুন। আর জি করে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় স্ত্রী ও শিশুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যুবককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
কিন্তু, ঘরে আগুন লাগাল কী ভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে, সোমবার সকালে দত্তপুকুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে মৃত গৃহবধূর পরিবার। তাদের দাবি, শাশুড়ি ও ভাসুর প্রায়ই অত্যাচার করতেন।
এই প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ‍ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খুনের অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে দেখছি।
গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা খুনের অভিযোগ ভত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ যুবকের আত্মীয়ের পাল্টা দাবি, খুনের অভিযোগ মিথ্যে। এক প্রতিবেশীও জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তেমন অশান্তি ছিল না।
পুলিশ অবশ্য খুনের মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে কেরোসিন তেলের জার, পোড়া কাপড় এবং মোবাইল ফোন। ফরেন্সিক দল গিয়েও, সোমবার নমুনা সংগ্রহ করে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।