কলকাতা ও বেলদা: নোট বাতিলের সময় পুলিশকে সামনে রেখে সোনা কেনার নামে প্রতারণার অভিযোগে সিআইডি-র নজরে এবার ভারতী ঘোষের ঘনিষ্ঠরা। রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাল সিআইডি। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতীর আত্মীয়ের কলকাতার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।


পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল আদালতে দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালায় সিআইডি। ৭৫ জনেরও বেশি সিআইডি আধিকারিক একাধিক দলে ভাগ হয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে তল্লাশি শুরু করেন বিভিন্ন জেলায়। ভারতীর আত্মীয়ের বাড়ি সহ তল্লাশি হয় ৪ জেলার ১২ জায়গায়।

সূত্রের খবর, বিভিন্ন জায়গায় চালানো তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে, ৬০ লক্ষ টাকা, ২ কেজি সোনা এবং প্রচুর জমির নথি। সিআইডি জানিয়েছে, কলকাতার নাকতলার যে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, সেটি ভারতীর নামে নয়, তাঁর এক আত্মীয়র নামে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময়। ঘাটাল থানার চক চাঁইপাটের সোনা ব্যবসায়ী চন্দন মাঝির অভিযোগ, সেই সময় দাসপুর থানার ওসি প্রদীপ রথ সহ চারজন তাঁর কাছ থেকে প্রচুর সোনা কিনতে চান। টোপ দেওয়া হয়, বাতিল নোট নিয়ে সোনা বিক্রি করলে, পরে নতুন নোটে দ্বিগুণ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু রাজি হননি ওই ব্যবসায়ী।

চন্দনের দাবি, কয়েকদিন পর স্থানীয় ব্যবসায়ী বিমল ঘোড়াইকে সঙ্গে নিয়ে আসেন পুলিশের এক গাড়ির চালক ও দাসপুর থানার এক কনস্টেবল। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ৩৭৫ গ্রাম সোনা নিয়ে নেন তাঁরা। অভিযোগ, কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি। ব্যবসায়ীর আরও দাবি, দাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তা নেওয়া হয়নি। পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও ফল হয়নি।

শেষমেশ, বৃহস্পতিবার ঘাটাল আদালতে মামলা করেন চন্দন। আদালত সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি। চক চাঁইপাট থেকে গ্রেফতার করা হয় বিমলকে। তাঁকে ১২ তারিখ পর্যন্ত সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।