কলকাতা: চোদ্দই জানুয়ারি জেলার সব কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তার ঠিক আগে ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল মালদায় তিনটি শিক্ষাঙ্গন।

অভিযোগ, গাজোল কলেজে এসএফআই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র কেড়ে নেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় প্রার্থীদের পরিচয়পত্র। এরপরই কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। ঘটনাস্থলে গেলে হবিবপুরের সিপিএম বিধায়ককের ওপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ।ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রতিবাদে জেলাশাসকের বাংলো ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই।

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তর প্রশ্ন, সিপিএমের বিধায়ক কলেজে কী করছিলেন?  তাঁর দাবি, আমরাই আক্রান্ত।

মালদা কলেজে আবার আক্রান্ত ছাত্র পরিষদ। আহত এক। এক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের দিকে। প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ছাত্র পরিষদ ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলি।

মনোনয়ন পত্র তোলা ঘিরে সোমবার ছাত্র সংঘর্ষ হয় গৌড় কলেজেও। তবে পুলিশের তৎপরতায় ঝামেলা বেশি দূর এগোয়নি।

ছাত্র ভোটকে ঘিরে অশান্তির ছবি জলপাইগুড়িতেও।

টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।