সমীরণ পাল, বারাসাত: করোনা সংক্রান্ত বিধির জেরে বন্ধ লোকাল ট্রেন। তাতে বিপর্যস্ত জনজীবন। নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আর এই পরিস্থিতির শিকার ফুল চাষিরাও। ফুলের অভাব নেই। কিন্তু বেশি টাকায় লরি ভাড়া করে ফুল পৌঁছতে হচ্ছে বাজারে। যার ফলে ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়। এমনটাই অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর, গাইঘাটা, চাঁদপাড়া, পাঁচপোতার ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীদের। কত ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।


রাজ্যে করোনা সংক্রমণের জেরে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু কমলেও এখনও রাজ্যে জারি কড়া করোনা সংক্রান্তি বিধি। তারই অংশ হিসেবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কবে সাধারণ মানুষের জন্য ট্রেন চলবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। গণ পরিবহন এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় বাজার খারাপ। তার ওপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো বর্ষার শুরুতেই লাগাতার বৃষ্টি। ফলে বাজারে পৌঁছনোর আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফুল। পাশাপাশি সড়কপথে নিয়ে যেতে সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমনই খরচ হচ্ছে অনেকটাই বেশি। এমনই অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর, গাইঘাটা, চাঁদপাড়া, পাঁচপোতার ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীদের।  


তাঁদের দাবি, বেশি টাকায় লরি ভাড়া করে ফুল পৌঁছতে হচ্ছে বাজারে।  কিন্তু সেই ফুল বিক্রি না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন তাঁরা। ঠাকুরনগরের বাসিন্দা এক ফুল চাষির বক্তব্য, ট্রেন বন্ধ আছে।  লরিতে নিয়ে যেতে হচ্ছে ফুল। তাতে অনেক খরচ হয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকার আরেক ফুল ব্যবসায়ী বলেন, দাম পাচ্ছে না। ব্যবসা মার খাচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা, ঠাকুরনগর, চাঁদপাড়া, পাঁচপোতার বিস্তীর্ণ এলাকায় ফুল চাষ করে জীবন ধারণ করেন কয়েক হাজার মানুষ। কার্যত লকডাউনে এমনিতেই মন্দার বাজার। তার ওপর লাগাতার বৃষ্টিতে চরমে উঠেছে দুর্ভোগ। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ফুল চাষে ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।