হাসিমারা: উত্তরবঙ্গের চা বাগান সমস্যার সমাধানে এবার জোরাল উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শ্রমিকদের স্বার্থে বন্ধ চা বাগানগুলি অধিগ্রহণ করে নিলাম করার সিদ্ধান্ত।


উত্তরবঙ্গে চা বাগানের সংখ্যা ৬৫। যার মধ্যে ১৩টি পুরোপুরি বন্ধ। ১১টি চা বাগান মাঝেমধ্যে খোলে।
ভোটের মুখে ১৩টি বন্ধ চা বাগানের মধ্যে সাতটি কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করলেও, সেখানে কাজই শুরু হয়নি। বাকি ছটি চা বাগান খোলার ব্যাপারে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার হাসিমারায় আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে চা বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,চা বাগান কিছুতেই বন্ধ রাখা যাবে না। মালিকদের হয় চা বাগান খুলতে হবে, নয়তো তাদের মালিকানা ছাড়তে হবে। রাজ্য সরকার এই সব চা বাগান অধিগ্রহণ করে, তা নিলাম করে খোলার ব্যবস্থা করবে।

যে সাতটি বন্ধ চা বাগান কেন্দ্র অধিগ্রহণ করেছে, প্রশাসনিক বৈঠকে তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, নির্বাচনের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার নামেই অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু এখনও কাজের কাজ কিছুই করেনি। সেখানকার শ্রমিকরা দুরবস্থার মধ্যে আছেন।
এ নিয়ে দিল্লিকে চিঠিও  দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকরা জানান, বন্ধ চা বাগানে ২ টাকা কেজি দরে এবং খোলা চা বাগানে ৪৫ পয়সা কেজি দরে চাল বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্ধ চা বাগানগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যের বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য পরিষেবা।

এবারের বিধানসভা ভোটে চা বাগানের সমস্যা অন্যতম ইস্যু ছিল।
উত্তরবঙ্গে তুলনামূলকভাবে ভাল ফল করলেও, বন্ধ চা বাগান এলাকাগুলিতে খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। তাই আগামী দিনে বিরোধীরা যাতে আর বন্ধ চা বাগানকে ইস্যু করতে না পারে, সে জন্য আগেভাগেই পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।