কলকাতা: যে সব দফতর প্রকল্পের টাকা খরচ করছে না, তারা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অর্থ দফতরকে টাকা ফিরিয়ে দিক। প্রশাসনিক কাজের মূল্যায়ন বৈঠকে মন্ত্রীদের ধমক মুখ্যমন্ত্রীর। নির্দেশ, ৪৮ ঘণ্টার বেশি কোনও ফাইল যেন কোনও টেবিলে আটকে না থাকে।
সোমবার নবনির্মিত ‘নবান্ন সভাঘরে’ বসে রাজ্যস্তেরের ১৪তম প্রশাসনিক মূল্যায়ন বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন, সব দফতরের মন্ত্রী, সচিব ও জেলার প্রশাসনিক কর্তারা।
নবান্ন সূত্রে খবর, পরিকল্পনার মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে পরেছে সুন্দরবন্দ উন্নয়ন, ভূমি রাজস্ব, বন, কৃষি, শ্রম, নারী ও শিশুকসল্যাণের মতো ২০টি দফতর। ১৫ টি দফতর কাজ শেষ করতে পেরেছে ৪০ শতাংশ।
ওই সব দফতরের কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, প্রশংসা করেন পঞ্চায়েত, সেচ, বিদ্যুত্‍, পরিবহণ ও শিক্ষা দফতরের। সূত্রের খবর, এই ৫টি দফতর ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে।
যে সব দফতরের কাজ আশানুরূপ নয়, সূত্রের খবর, তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক দফতর কাজ না করায় টাকা খরচ হচ্ছে না। কাজ করতে না পারলে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টাকা অর্থ দফতরকে ফেরত দিক। অধিকাংশ কাজই করতে হবে পূর্ত দফতরের মাধ্যমে।
সূত্রের খবর, এরপরই আইনমন্ত্রীকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, সরকারের কাজে গতি আনতে জমে থাকা মামলার দ্রুত সমাধান করুন। সরকারের খরচ কমবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে ৩০ হাজার মামলা-মোকদ্দামা চলছে। পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রত্যেক দফতরের প্রধান সচিব ১৫ দিন অন্তর রিভিউ মিটিং করবেন। সবাইকে ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম মেনে চলতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার বেশি ফাইল যেন কোনও টেবিলে আটকে না থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী চান, বাজেট বছর হোক জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর তাই বছর শেষের আগেই যেন সব দফতরের বরাদ্দ ঠিকমতো খরচ হয়, সে বিষয়ে নির্দেশ দেন মমতা। জেলা প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, পুজোর সময় কোনও রকম অস্ত্রপুজোর অনুমতি দেওয়া হবে না। অস্ত্র নিয়ে মিটিং, মিছিল করা যাবে না।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। সম্ভাবনা ভোট এগিয়ে আসার। সেই কথা মাথায় রেখেই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা বলে মত রাজনৈতিক মহলের।