সুমন ঘড়াই, আশাবুল হোসেন, কলকাতা: নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টি ও বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় রাজ্যে হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। নদীর বাঁধ ভেঙে বহু এলাকায় জলের তলায় চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও হুগলির বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কাল আকাশপথে হাওড়া ও হুগলির প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাওড়া ও হুগলির প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। উদয়নারায়ণপুর, খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। পরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
এরইমধ্যে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ার পর বন্যা পরিস্থিতি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতায়। জলের তোড়ে কিশোরীর মৃত্যু। উদয়নারায়ণপুরের ৮৫টি গ্রাম জলমগ্ন। আমতার ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। আমতা ১ নম্বর ব্লকের রসপুর এলাকাতেও জল ঢুকছে। দামোদর আর রূপনারায়ণের জল ঢুকেই এই বিপত্তি। হাওড়া-হুগলি সংগোযগাকীর রাজ্য সড়ক এখন জলের তলায়। উদয়নারায়ণপুরে খোলা হয়েছে ৩৫টি ত্রাণশিবির।
হুগলির খানাকুলে বেশ কিছু জায়গায় আজ জল আরও বেড়েছে। কিছু জায়গায় রাস্তা জলের তলায় চলে যাওয়ায় যাতায়াতে বিঘ্ন। ৬০ থেকে ৬৫টি গ্রাম পুরোপুরি জলমগ্ন। খানাকুলে খোলা হয়েছে ৮০টি ত্রাণশিবির। উঁচু রাস্তায় ত্রিপল খাটিয়ে রয়েছে অনেক পরিবার। শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না আজ নৌকায় চড়ে খানাকুলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে।চারিদিকে জল থইথই। অথচ নেই পানীয় জল। কোনও কোনও এলাকায় সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে একতলা বাড়ি।ফলে ছাদ হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়। ত্রিপল খাঁটিয়ে চলছে বসবাস।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ঘাটাল শহরে জল নামেনি। চরম ভোগান্তি বাসিন্দাদের। নৌকায় করে যাতায়াত করছেন অনেকে। ট্রাক্টরের ওপর কেউ কেউ পরিবার নিয়ে রয়েছেন। উঁচু রাস্তার ওপর ত্রিপল খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট।