কলকাতা: হরিশ মুখার্জি রোডে কলকাতা পুরসভার অডিটোরিয়াম জয় হিন্দ ভবনে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ৩ জন। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সাধারণ মানুষ বলেন। তাই সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইন দিয়েই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়েছেন। এটা রাজ্যের গর্ব যে উনি সাধারণের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখতে ভালবাসেন। বলেন পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেছেন, নাটক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উনি কি স্বাস্থ্য সাথীর যোগ্য যে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিচ্ছেন? নোটবাতিলের সময় রাহুল গাঁধীও লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলেছিলেন।

করোনা আবহেই দুয়ারে কড়া নাড়ছে রাজ্য বিধানসভা ভোট। সেই ভোটের আগে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে বড় ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে সর্বজনীন করে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নভেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ঘোষণা করেন, রাজ্যের সব মানুষ বিনা খরচে পাবেন সরকারি স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ। রাজ্যের সব মানুষই পাবেন ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধে। তবে অন্য কোনও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় থাকলে এই সুবিধে পাওয়া যাবে না ৷ পয়লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় নাম নথিভুক্তির কাজ।

যদিও বিরোধীরা তাঁর দাবি উড়িয়ে দেয়। বিজেপি বলে, ঋণের ভারে ধুঁকছে রাজ্য, অথচ মুখ্যমন্ত্রী শুধুই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আবার সিপিএম প্রশ্ন করে, এর পিছনেও কাটমানি খাওয়ার ছক নেই তো?

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস চিকিত্সার সুযোগ পাওয়ার কথা। রাজ্যের  সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে মেলে এই প্রকল্পের সুবিধা এবং স্বাস্থ্য সাথীর স্মার্ট কার্ড দেখালে পাওয়ার কথা ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা। রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বহু বেসরকারি হাসপাতাল, দিল্লির এইমস এবং ভেলোরে এই কার্ডের সুবিধা নেওয়া যায়।