সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: খড়দা বলরাম বসু সেবা মন্দির কোভিড হাসপাতালের সামনে মৃত্যু হল দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম প্রৌঢ়ের। ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোলের বাসিন্দা বছর ষাটের কৃষ্ণা যাদব লরির খালাসির কাজ করতেন। গতকাল পণ্য খালাসের কাজে খড়দায় এসে লরির পাশেই ঘুমোচ্ছিলেন ওই প্রৌঢ়।
সেই সময় একটি গাড়ি তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে খড়দা বলরাম বসু সেবা মন্দির হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় ভর্তি নেওয়া হয়নি। ফলে হাসপাতালের সামনে দেড়ঘণ্টা পর কার্যত বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয় আহত প্রৌঢ়ের। হাসপাতালের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
জুলাই-এর শুরুতেই রেফার-হয়রানির অভিযোগ ওঠে সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় কলকাতার ৩টি হাসপাতাল। জানা যায় স্ট্রোক হওয়ার পর ২ দিন কেটে গেলেও ভর্তি হতে পারছিলেন না ডোমকলের ৬৫ বছরের প্রৌঢ়া। মস্তিস্কে রক্ত জমাট বাঁধা রোগিণীকে নিয়ে এনআরএস, এসএসকেএম, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে ঘুরলেও ভর্তি করা যায়নি বলে অভিযোগ। এসএসকেএমে প্রতীক্ষালয়ে রাত কেটেছে। পরিবারের দাবি, এরপর বহির্বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানা ছিল না, রোগিণীর চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে, আশ্বাস হাসপাতালের সুপারের।
১৭ জুলাই এও এই একই অভিযোগ ওঠে খাস কলকাতায়। ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চার চারটি হাসপাতালে ঘুরেও রোগী ভর্তি করতে না পারার অভিযোগ। রোগী-প্রত্যাখানের অভিযোগ শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
বেহালা চৌরাস্তার বাসিন্দা এক পরিবারের দাবি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ বছর ৬৫-র রোগীকে নিয়ে প্রথমে যান বেহালার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হলে তাঁরা এসএসকেএম-সহ চারটি সরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু অভিযোগ, কেউই ভর্তি নিতে চায়নি। গভীর রাত পর্যন্ত এসএসকেএমের সামনে স্ট্রেচারে পড়ে ছিলেন রোগী। এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের জেরে অবশেষে ভর্তি করা হয় ওই রোগীকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয় এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।