বিশ্বজিৎ দাস, মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে জেলায় ৫৫টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সংক্রমণ রুখতে চলছে কড়া নজরদারি। কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় খড়গপুর পুরসভার ৫টি ওয়ার্ড। গতকাল রাতে নাকা চেকিং করে পুলিশ। রাত ৯টার পর দোকান খোলা রাখায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। সতর্ক করা হয় ব্যবসায়ীদের। ইন্দা বাস স্ট্যান্ড, খরিদা, মালঞ্চ এলাকাতেও চলে পুলিশি নজরদারি। কোভিড বিধি ভাঙায় গ্রেফতার করা ৯ জনকে।
বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণে রাশ টানতেই পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক কড়াকড়ি। জমায়েত এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে দোকান বাজার। করোনা আক্রান্তদের বাড়ি চিহ্নিত করে গড়ে তোলা হয়েছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। একইসঙ্গে আক্রান্ত পরিবারগুলির জন্য হোম ডেলিভারি পরিষেবা ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রশাসন।
উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ফের পেরিয়েছে হাজারের গণ্ডি। তবে সামান্য কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। অন্যদিকে রাজ্যে গত তিনদিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ২০-র নিচে ঘোরাফেরা করলেও, বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণের হার। করোনার ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের ঢেউ আগের তুলনায় অনেকটা থিতিয়ে গেলেও, পশ্চিম মেদিনীপুরে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। তাতে রাশ টানতে, শক্ত হাতে ময়দানে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসন।
জেলায় মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ-শৃঙ্খল ভাঙতে ৫৫টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে কড়া নিয়ন্ত্রণ বিধি। সচেতনতা বাড়াতে চলছে মাইকে প্রচার। বাজার দোকানে চলছে নজরদারি। করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার ও সবজি। মেদিনীপুর শহরের চারটি ওয়ার্ডে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। গতকাল, সেই এলাকা পরিদর্শন করেন ডিএম, এসপি। করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে লাগানো হয়েছে হোম আইসোলেশন স্টিকার। ঘরবন্দি পরিবারগুলির জন্য খাবার ও সবজির হোম ডেলিভারি চালু করেছে প্রশাসন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কোমল গতকাল বলেন, “আমরা এলাকা ঘুরে দেখছি। অ্যাফেক্টেড এলাকায় যাচ্ছি।’’মেদিনীপুরের এক করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্য হবু জাফর বলেন, আমার বাড়িতে ৩ জন আক্রান্ত। কেউ বেরোতে পারে না। আমাকেই মাঝে মাঝে ওষুধ আনতে যেতে হোত। প্রশাসন পাশে দাঁড়ানোয় খুশি। পুলিশ তৎফর। খোঁজ নিচ্ছে অসুবিধার ব্যাপারে।