বাঁকুড়া: বাঁকুড়া শহরের ৪টি জায়গাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করল প্রশাসন। বন্ধ করা হল রাস্তা। টাঙানো হয়েছে নো এন্ট্রি বোর্ড। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। কনটেনমেন্ট জোনের সংক্রমিতদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে পুর প্রশাসন।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে রাজ্য কমছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজারের নিচে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৬০-এর নীচে।
এই অবস্থায় ফের যাতে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী না হয় তার জন্য সক্রিয় প্রশাসন। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরে করোনা আক্রান্ত ৪টি পরিবারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে হরশ্বর মেলা, অরবিন্দ নগর, খ্রিষ্টানডাঙ্গা ও প্রতাপবাগান।
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংক্রমিতদের বাড়ির সামনের রাস্তা। সেখানে দেওয়া হয়েছে নো এন্ট্রি বোর্ড। এছাড়া স্যানিটাইজ করা হচ্ছে ওই এলাকা। কনটেনমেন্ট জোনের অন্যান্য বাসিন্দাদের চলাফেরায় কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
বাঁকুড়া মহকুমাশাসক সুশান্তকুমার ভক্ত জানিয়েছেন, শনিবার সংক্রমিতদের বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেন পুর প্রশাসক। বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক অলকা সেন মজুমদারের কথায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করে সরকার। সংক্রমণ ও মৃত্যুর গ্রাফ নিম্নমুখী হতে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া প্রশাসন সূত্রে খবর, সংক্রমণ যাতে আর না বাড়ে তাই কনটেনমেন্ট জোনে জোর দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী বাঁকুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। তবু সচেতনতায় ফাঁক রাখতে চায় না স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী বাঁকুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে নামছে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। ৭৩ দিন পর রাজ্যে আড়াই হাজারেরও নিচে নেমে গিয়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২,৪৮৬ জন।
এই নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হলেন মোট ১৪,৭৭,০৩৭ জন। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৮৮ জন, এই সময়পর্বে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। তবে আজকের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ জন। অর্থাৎ গতকালের তুলনায় মৃতের সংখ্যাও কমেছে রাজ্যে।
পাশাপাশি হিসেব বলছেন এ পর্যন্ত ১৭, ২৯৫ জন ব্যক্তি করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজ্যে। যদিও সুস্থতার হারও বেড়েছে বর্তমানে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২,১০৯ জন। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ১৪,৩৯,২১৫ জন। বুলেটিনের প্রকাশিত সুস্থতার হার ৯৭.২৮।