শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা: করোনা সংক্রমণ রুখতে সপ্তাহে দুদিন সম্পূর্ণ লকডাউন দিনহাটা পুরসভা এলাকায়। শনি ও মঙ্গলবার সম্পূর্ণ লকডাউন এর ঘোষণা। শুধুমাত্র ওষুধের দোকান ও রেশন দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ। সপ্তাহের অন্য ৫ দিন সকাল 8 টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।


রাস্তায় হাতে গোনা লোক। শুনশান মাছের বাজার। বন্ধ দোকানপাট। রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউন চললেও, মঙ্গলবার থেকে সপ্তাহে দু’দিন সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হল কোচবিহারের দিনহাটায়। তার মধ্যেই জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় দেখা গেল কয়েকজনকে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যেই দিনহাটায় নতুন করে খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত শনিবার দিনহাটায় কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। কিন্তু রবিবার ৫ জন সংক্রমিত হন।  সোমবার সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৮। একদিকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সেখানে অসম লাগোয়া কোচবিহারের এই শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায়, সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।


ঠিক হয়েছে সপ্তাহে দু’দিন, মঙ্গল ও শনিবার সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে দিনহাটায়। রেশন ও ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ থাকবে সব। জরুরি পরিষেবা ছাড়া চলবে না গাড়ি। সপ্তাহের বাকি ৫ দিন, সকাল ৮টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সবকিছু। দিনহাটা পুরসভার প্রশাসক উদয়ন গুহ বলেন, যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে, সকলে সহযোগিতা করবেন আশা করছি। সপ্তাহে ২ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন ডেকে কোনও ফল মেলে কিনা, ১০ দিন তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।


এদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সোমবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৬৫৭ জন। এই সময়পর্বের রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টাতেও সুস্থতার সংখ্যা সংক্রমণের থেকে বেশি। গত একদিনে করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৭৫ জন। যার জেরে আরও ২৩০ জন কমে রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৬৬ জনে। পাশাপাশি সুস্থতার হার গিয়ে পৌঁছেছে ৯৮.০৫ শতাংশে।