করুণাময় সিংহ, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্যকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিডিও অফিস চত্বর থেকে অপহরণের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল।
সম্প্রতি, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে ১২ জন সদস্য অনাস্থা আনেন। আজ তাঁরা বয়ান রেকর্ড করাতে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বরের বিডিও অফিসে।
অভিযোগ, সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ১১ জনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পঞ্চায়েত প্রধান এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
এনিয়ে এখনও অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। এ নিয়ে উত্তেজনা এলাকায়। রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গত ২৯ মে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন ১২ জন তৃণমূল সদস্য। কিন্তু, বিডিও তলবি সভা না ডাকায় এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় নতুন করে অনাস্থা আনতে হবে। অনাস্থা আনা হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিডিওকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
মামলাকারীদের আইনজীবী তাপসকুমার মণ্ডল বলেন, নতুন করে অনাস্থা আনার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিডিওকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এরপরই সোমবার নতুন করে, জলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ১২ জন তৃণমূল সদস্য। হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল নেতা ও সদস্য পিন্টুকুমার যাদব বলেন, প্রধানের বিরুদ্ধে ১২ জন সদস্য অনাস্থা এনেছিলাম। কিন্তু বিডিও গুরুত্ব দেননি। তাই হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। হাইকোর্ট পুনরায় অনাস্থা আনার নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতো ফের অনাস্থা এনেছি।
মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিডিও বিজয় গিরি বলেন, আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত আইন মেনে তা পালন করা হবে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রধান জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। ওদের দিকে ১২ জন থাকলে তাঁর দিকেও ৮ জন আছে। আইন মেনে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নেওয়া হবে।
২০১৮-র ভোটে এই পঞ্চায়েতের ২০টি আসনের মধ্যে ১৮টি দখল করে তৃণমূল। বিজেপি জিতেছে ২টি আসনে।