শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা: কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভ্যাকসিন বিভ্রাট। প্রথম ডোজ কোভ্যাকসিন, দ্বিতীয় ডোজ কোভিশিল্ড! প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পেতেই যেখানে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের, সেখানে একই মহিলাকে ২৮ দিনের মাথায় দুই ভিন্ন ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। দু’টি ভিন্ন ভ্যাকসিন নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন ওই মহিলা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।


দিনহাটার বাসিন্দা বছর ৩০-এর জয়া নারায়ণ রায়ের দাবি, ১০ জুন কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন তিনি। ঠিক ২৮ দিন পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসেন তিনি। প্রথম ডোজের টোকেন না দেখেই তাঁকে ভ্যাকসিন দেন নার্স! টিকা প্রদান কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পর তিনি জানতে পারেন, এদিন কোভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় নার্সকে জিজ্ঞাসা করে তিনি জানতে পারেন, তাঁকে কোভিশিল্ডের ডোজ দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান এই মহিলা। তিনি রীতিমতো আতঙ্ক ভুগছেন। তাঁর কিছু হলে কে দায় নেবে, সেই প্রশ্নও তুলছেন তিনি। 


দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার জানিয়েছেন, ’আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেব।’


কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশে এই ধরনের ঘটনা দেখা গিয়েছিল। এই ঘটনা ঘটে সিদ্ধার্থ নগর জেলার বারহনি প্রাথমিক স্বাস্থ্য অঞ্চলে। আউদাহি কলন গ্রামের ২০ জন বাসিন্দাকে প্রথমে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৪ মে তাঁদের কোভ্যাকসিন দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরেই স্বাস্থ্যকর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেন। দু’রকম ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কারও স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে বলে জানা যায়নি। কিন্তু সবাই এই ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন। ভ্যাকসিন আদৌ কাজ করবে কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। সিদ্ধার্থ নগর জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার সন্দীপ চৌধুরী এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেন। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে।