সনৎ ঝা, দার্জিলিং: খড়ের বিছানায় চলছে খুনসুটি, বয়স মাত্র ১ দিন, কিন্তু তাতে কী? এ ওর নাকে মুখ ঘষে মজার খেলায় ক্লান্তি নে। আর নবাগত দুই অতিথিকে নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে। বুধবারই তোপকেইদারার প্রজনন কেন্দ্রে শোভা আর নোয়েলের কোল আলো করে জন্ম নেয় দুই ফুটফুটে সন্তান। দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে বাড়ল রেড পান্ডার সংখ্যা। মা ও সন্তানেরা সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে চিড়িয়াখানার তরফে।


পৃথিবী থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়ার মুখে রেড পান্ডা। ভারতের যে তিনটি রাজ্যে রেড পান্ডা পাওয়া যায়, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। এই পরিস্থিতিতে নতুন দুই পান্ডার আবির্ভাবে খুশির হাওয়া পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে। কর্মীরা আনন্দের রেশ নেই নতুন দুই সদস্যকে পেয়ে। পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের ডিরেক্টর ধর্মদেও জানিয়েছেন, 'মা সন্তান সুস্থ আছে। ২৩ থেকে সংখ্যা ২৫ হল।'


বুধবার দুই রেড পান্ডার আগমনের খবর ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোটা দেশে রেড পান্ডারের প্রজননের ক্ষেত্রে কো অর্ডিনেটর জু হিসেবে কাজ করে দার্জিলিং জু। তাদের প্রশিক্ষিত দেখভালের জেরে সুস্থ, সবল দুটি রেড পান্ডার আর্বিভাবকে তাই যথেষ্ট সাফল্যের ও গোটা রাজ্যের কাজে গর্বের বলেই দাবি তাদের।


মূলত পূর্ব হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকাতেই রেড পান্ডা দেখা যায়। বিড়ালদের থেকে আকৃতিকে কিছুটা বড় এরা। ছোট চোখ, লম্বা লোমশ লেজ ওয়ালা রেড পান্ডারা মূলত গাছে গাছেই বিচরণ করে। দৈহিক সৌষ্ঠবের কারণেই রেড পান্ডাদের শরীর প্রচণ্ড নমনীয়। লম্বা লোমশ লেজের সাহায্যে যেমন ঠান্ডার সঙ্গে লড়ার শক্তি এরা জোগায় তেমনই গাছে গাছে ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রে রক্ষা করে শরীরের ভারসাম্য। নেপালি শব্দ 'পোনয়া' শব্দ থেকে এসেছে পান্ডা শব্দটি। নেপালিতে যার অর্থ বাঁশ বা গাছ খেয়ে বাঁচা প্রাণী।