শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুফানগঞ্জ: বিজেপি পরিবারের কয়েকজন ছাত্রীকে ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ ছাত্রীদের। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ঘটনা।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বারোকোদালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা।
ছাত্রীদের দাবি, পড়াশোনার জন্য স্কুলের মাধ্যমে সরাকারি স্টাইপেন্ড পায় তারা। এ জন্য পরিবারের ইনকাম সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। অভিযোগ, পরিবার বিজেপি করে বলে, এদিন পঞ্চায়েত অফিসে ইনকাম সার্টিফিকেট নিতে গেলে ঘাড়ধাক্কা দেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
প্রতিবাদে ভাড়েয়া চৌপথী এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে ছাত্রীরা। এক অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, আমি ইলেভেনে পড়ি। স্টাইপেনের জন্য ইনকাম সার্টিফিকেট দরকার। তৃণমূল নেতারা ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বরে করতে দেয়। আমরা ওদের শাস্তি চাই। বক্সিরহাট থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। তুফানগঞ্জের বিজেপি নেতা উৎপল দাস বলেন, বিজেপি করার অপরাধে সার্টিফিকেট দেয়নি। "রাজ্যের কি অবস্থা এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হয়, বাবা বিজেপি করে জন্য মেয়েকে ইনকাম সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না, ঘাড়ধাক্কা দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, এ কোন দেশে আছি আমরা।'
অভিযোগ খারিজ করেছে তৃণমূল। তুফানগঞ্জ-২ ব্লক তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র বর্মন বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং সাজানো। তৃণমূল কংগ্রেস এ ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না বলে বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করছে। শাসক দল অস্বীকার করলেও ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজায় সরগরম তুফানগঞ্জ।
এর আগে, প্রায় একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে নন্দীগ্রাম। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সহায়তা পেতে লাগবে অবিবাহিতার শংসাপত্র। আর সেই শংসাপত্র পেতে আমরা-ওরার অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে।
নন্দীগ্রামের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তারা বিজেপি করার অপরাধে ওই শংসাপত্র দিচ্ছেন না গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।