রঞ্জিত্‍ হালদার, ভাঙড়: সরকারি ভ্যাকসিন দেওয়া হল তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।


রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন নিয়ে দলবাজির অভিযোগ করেছে বিজেপি। স্থানীয় তৃণমূল নেতার সাফাই, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র অপরিষ্কার হওয়ায় সাময়িকভাবে পার্টি অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।


কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বা পুরসভার ক্লিনিক নয়, সরকারী উদ্যোগে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার আয়োজন তৃণমূলের পার্টি অফিসে। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের কড়মবা এলাকা।  


স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, কড়মবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বুধবার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। 
নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। কিন্তু এদিন সকালে দেখা যায়, তা দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। 


এই ঘটনায় দানা বেঁধেছে বিতর্ক। অভিযোগ, ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি পার্টি অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন নিয়ে দলবাজির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। 


দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, সরকারি ভ্যাকসিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেওয়ার কথা ছিল। তা তৃণমূল নেতা প্রভাব খাটিয়ে পার্টি অফিসে দিয়েছে।  এটা গুরুতর অপরাধ । কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ভ্যাকসিন কীভাবে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। 


ভাঙড় ১ নং ব্লকের তৃণমল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেল সভাপতি আহেদ আলি শেখ বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছিল। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জমে ছিল আবর্জনা। তাই কিছুক্ষণের জন্য পার্টি অফিসে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়।  ১০-১৫ মিনিটের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।


বিডিও দীপকুমার মজুমদারের দাবি, এরকমভাবে আর কাউকে ক্যাম্প করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ক্যাম্প হয়ে গেছে। এরকমভাবে যাতে আর কেউ ক্যাম্প করতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।


ভাঙড় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিমেশ হোড় বলেন, কড়মবা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিছু স্থানীয় লোক সেটিকে পার্টি অফিসে করার চেষ্টা করে।  পরে বিডিও এবং আমার হস্তক্ষেপে সেটিকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে করা হয়।


স্থানীয় সূত্রে দাবি, এদিন তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে ১৫০ জনকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।