আবীর দত্ত ও শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কলকাতা: এগারোশো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশের এক পুলিশ আধিকারিক। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ফোন।  বিএসএফ সূত্রে খবর, ভারত হয়ে নেপালে পালানোর ছক ছিল অভিযুক্তর।


কিছু দিন আগে, বাংলাদেশে একটি ই-কমার্স সংস্থার ১,১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের পুলিশ আধিকারিক শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে। শুক্রবার তাঁকে, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা থেকে আটক করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


বিএসএফ জানিয়েছে,ঢাকায় বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত রানার কাছ থেকে চারটি ডেবিট কার্ড,মার্কিন ডলার, ইউরো, দুটি মোবাইল ফোন এবং বাংলাদেশের সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। বিএসএফ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশের পুলিশকর্তা কোচবিহার হয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে পালানোর ছক ছিল।


ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার টাকা দালালকে দেয় অভিযুক্ত। ধৃতকে রবিবার মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে তোলা হবে। 


চোরাকারবারিদের কার্যকলাপ যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবার এমনই চোরাকারবারিদের একটি দল বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ভারতে নিয়ে আসছিল দুটি সাদা পূর্ণবয়স্ক ময়ূরকে (White Peacock)। তখনই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায় তারা। চোরাকারবারিদের কাছে থেকে দুটি সাদা ময়ূরকে (Peacock) উদ্ধার করেন বিএসএফ (BSF) জওয়ানরা। যদিও পালিয়ে যায় ওই চোরাকারবারিরা। ঘটনাটি ঘটেছে (Nadia) নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাটিয়ারীর ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামে। 


বিএসএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী গ্রাম কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাটিয়ারীতে দুজন ব্যক্তি বাজারের ব্যাগে করে দুটি সাদা পূর্ণবয়স্ক ময়ূর বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই চোরাকারবারিদের কাছ থেকে ময়ূর দুটিকে উদ্ধার করেন বিএসএফ জওয়ানরা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালেই উদ্ধার হওয়া পূর্ণবয়স্ক সাদা ময়ূর দুটিকে নদিয়া - মুর্শিদাবাদ বনবিভাগের অন্তর্গত রানাঘাট ফরেস্ট অফিসের কর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দুটি ময়ূরই সুস্থ অবস্থায় রয়েছে। তবে, যেহেতু চোরাপথে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে, তাই আগে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।