সনৎ ঝা, দার্জিলিং: করোনার তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে, উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি বলে দাবি করল রাজ্য সরকার। পর্যাপ্ত বেড, শিশুদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত এবং ভ্যাকসিনেশনে জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারকে এই ইস্যুতে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।


গত কয়েক দিনে দৈনিক সংক্রমণে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার পরেই রয়েছে দার্জিলিং জেলা। করোনায় এড়ানো যাচ্ছে না মৃত্যু। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরই চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। উত্তরবঙ্গ দিয়েই কি তৃতীয় ঢেউ প্রবেশ করবে রাজ্য? আশঙ্কায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে দার্জিলিং জেলার দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। দার্জিলিং জেলার ভৌগলিক অবস্থান যার অন্যতম কারণ। উত্তর পূর্ব ভারত থেকে সড়ক ও রেলপথে ভারতের যে কোনও প্রান্তে আসতে গেলে উত্তরবঙ্গ পার করতেই হবে। এছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য অসম থেকে যে কোনও পথ ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করা যায়।


থার্ড ওয়েভ সামলাতে কতটা তৈরি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর? উত্তরবঙ্গের জন্য রয়েছে কী পরিকল্পনা? স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘থার্ড ওয়েভের জন্য আমরা তৈরি, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিনেশন, আমরা যথেষ্ট সংখ্যায় বেড বাড়িয়েছে।’


স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি, উত্তরের সমস্ত জেলা হাসপাতালে শিশুদের জন্য বাড়ানো হয়েছে আইসিইউ। শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে জোর দেওয়া হয়েছে মোবাইল ভ্যাকসিনেশনে।


বিরোধীদের অভিযোগ, করোনাকে হালকাভাবে নিচ্ছে শাসক দলই। সিপিএম নেতা ও শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কোনও প্রস্তুতি আছে নাকি, কলকাতার থেকে দার্জলিঙে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি, সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে রোগ ছড়াচ্ছে, শাসক দলই মিটিং-মিছিল করছে, হালকাভাবে নিচ্ছে।’


এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশন ও পাহাড়ের বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসক মলয় চক্রবর্তী বলেন, দার্জিলিঙে ভ্যাকসিনেশন ঠিকমতো হয়নি, ট্যুরিস্ট যাচ্ছে মানে বাহকরা যাচ্ছে,উপায় পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন লাগবে,টেস্ট করাতে হবে আরও।’


দার্জিলিঙের সংক্রমণের গ্রাফ উদ্বেগ বাড়ালেও প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে।