কলকাতা: নিম্নমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ। এই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এবার উপ নির্বাচনের দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রচারের জন্য ৭ দিন সময় দিলেই হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এখন তো পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। কমিশন চাইলে এখন ভোট করে নিতে পারে। আমি জানি, প্রধানমন্ত্রী বললেই কমিশন উপনির্বাচনের ঘোষণা করবেন। প্রচারের জন্য ৭ দিন দিলেই হবে। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।" এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ৮ দফায় ভোটের জন্য সংক্রমণ বৃদ্ধি বলে অভিযোগ মমতার। তা নিয়ে কমিশনকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "৮ দফায় ভোটের সময় সব থেকে বেশি সংক্রমণ রাজ্যে। বিধানসভা ভোটের সময় ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে।"
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন তৃণমূলনেত্রী। নিয়ম মতো, সরকার গঠনের ছ’মাসের মধ্যে কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। ইতিমধ্যেই মমতার আগের আসন ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাই, ভবানীপুরে ফের ভোট হবে। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভোটে লড়ার কথা। তৃণমূল সূত্রে খবর, খড়দা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, রাজ্যে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। এর মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, দক্ষিণ ২৪ পরপগনার গোসাবা, কোচবিহারের দিনহাটা ও নদিয়ার শান্তিপুর কেন্দ্রে। এছাড়া ভোট হওয়া বাকি আছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্র। ভোটের ফল প্রকাশের আগেই, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় খড়দা কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। গত শনিবারই করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতার জেরে, দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের। আর ভোটের আগে, করোনায় মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রের প্রার্থীদের। তাই ফের ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত। করোনা আক্রান্তের প্রার্থীর মৃত্যুতে রাজ্যের দু’টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়নি, দু’টি আসনই মুর্শিদাবাদের।