কলকাতা: স্থানীয়রা বলছেন, তিনি সামনের সারিতে থেকে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন। আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন জরুরি পরিষেবা। এলাকায় বিলি করেছেন মাস্ক, খাদ্যদ্রব্য। লালারসের পরীক্ষা করিয়েছেন প্রায় ৩০০ জনের। কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেই বিদায়ী কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে নিজেই এবার করোনা আক্রান্ত। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

বেহালার সন্তোষ রায় রোডের বাসিন্দা সুদীপ ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর। করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকে ছিলেন সামনের সারিতে। মঙ্গলবার থেকে তাঁর জ্বর আসে। শুক্রবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে সুদীপ বললেন, ‘এখন একটু ভাল আছি। জ্বর কমেছে। তবে দুর্বলতা রয়েছে। ঘাম হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’

কীভাবে হল সংক্রমণ? সুদীপের মনে হচ্ছে, করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রথম থেকেই। সেখান থেকেই কোনওভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। সুদীপ বলছেন, ‘আমার ওয়ার্ডে প্রায় ৫০ জনের করোনা হয়েছে। পুরসভার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও নির্দেশ মতো তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি সিল করার কাজ করেছি। সকলের বাড়িতে জরুরি পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছি। সব আক্রান্তদের বাড়ি দাঁড়িয়ে থেকে স্যানিটাইজ করিয়েছি। হয়তো সেখান থেকেই কোনওভাবে সংক্রমিত হয়েছি।’ সুদীপের বাড়ির সদস্যরা আপাতত বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন।

১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর ছিলেন সুদীপ। বিদায়ী কাউন্সিলর বলছেন, ‘প্রায় ২০ হাজার মাস্ক বিলি করেছি এলাকায়। বিতরণ করেছি ২৫ হাজার কেজি চাল, ডাল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য। পাশাপাশি প্রায় ৩০০ জনের লালারসের পরীক্ষা করিয়েছি।’

এলাকার কোনও আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়লেও উদ্যোগী হয়ে বেডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সুদীপ। আপাতত নিজেই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।