সুমন ঘোড়াই, হাওড়া: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ভারত। করোনার তৃতীয় ধাক্কার অভিঘাতও কি দ্বিতীয়র মতোই ভয়ঙ্কর হবে, সেই চিন্তাই ঘুম কাড়ছে সকলের। এরই মধ্যে ভাবাচ্ছে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিও। সেই কথা মাথায় রেখে রাজ্য ইতিমধ্যেই কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। এবার রাজ্যের সব জেলা হাসপাতালকে চিঠি দিয়ে প্রস্তুতির নির্দেশ দিল নবান্ন। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সব রকম পরিকাঠামো তৈরি রাখুন, নির্দেশ নবান্নর চিঠিতে। সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, কোনওক্ষেত্রে পরিকাঠামোর অভাব থাকলে তা যেন অবিলম্বে সরকারকে জানানো হয়। 



রাজ্য চিঠি দিয়ে জেলা হাসপাতালগুলিকে বলেছে, যদি চিকিত্সা সরঞ্জামের অভাব থাকে, তাও নবান্নকে জানাতে হবে। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ‘নবান্নের তরফে দ্রুত চিকিত্সা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হবে’। 

করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় শিশু-চিকিত্সায় বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। মূলত শিশুদের ডায়ালিসিস ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিত্সায় জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বর্তমানে রাজ্যে ৩১টি ডায়ালিসিস ইউনিট রয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বাড়ানো হচ্ছে এই ধরনের ইউনিটের সংখ্যা। 

গত মাসেই, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য বলে জানায় আইএমএ। এই পরিস্থিতিতে কোভিড বিধি যথাযথভাবে মেনে চলার ব্যাপারে জোর দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে চিকিত্সক সংগঠনের তরফে। প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ জানায়, 'দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ করোনা বিধি না মেনেই জমায়েত করছেন। ঘুরতে যাওয়া, তীর্থযাত্রা, ধর্মীয় সমাবেশ, সবেরই প্রয়োজন। কিন্তু এসবের জন্য আর কয়েকমাস অপেক্ষা করাই যায়।। ভ্যাকসিন না নিয়ে কোভিড বিধি ভেঙে জমায়েত করলে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের সুপার স্প্রেডার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হবে।' 


এরই মধ্যে দেশে করোনা পরিস্থিতিতে সামান্য উন্নতির খবর। দেশে করোনায় ফের কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৬৭ জন।একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭৮ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৩২ জনের।  মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৯৩।  অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬৭৩।  করোনাকে জয় করে ৩৫ হাজার ৭৪৩ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৮ জন।