ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে শিশু-চিকিত্সায় বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মূলত শিশুদের ডায়ালিসিস ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিত্সায় জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে ৩১টি ডায়ালিসিস ইউনিট রয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বাড়ানো হচ্ছে এই ধরনের ইউনিটের সংখ্যা।


গতকাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২-৭ অগাস্ট পর্যন্ত এসএসকেএম, এনআরএস ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশিক্ষণ শিবির হবে। নেফ্রোলজি বিভাগের স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা, পিকু, নিকু, SNCU ও ডায়ালিসিস বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ও টেকনিশিয়ানরা এই প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন নেফ্রোলজিস্টরা, যাঁরা মূলত শিশুদের চিকিত্সার সঙ্গে যুক্ত।


একইসঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে চলবে প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে পিপিটি পদ্ধতিতে চিকিত্সা পরিষেবা আরও বিস্তৃত ও উন্নত করতে পরামর্শদাতা সংস্থা হিসেবে প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্সের সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।


উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন। করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে রাতের বিধিনিষেধে কড়া নবান্ন। কলকাতা ও জেলায় চলছে পুলিশি নজরদারি। বিধিভঙ্গের অভিযোগে কলকাতায় ৯৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু। পশ্চিম মেদিনীপুর, শিলিগুড়িতে আটক বেশ কয়েকজন। 


গত কয়েক দিনে রাজ্যে গড়ে দৈনিক মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০০ থেকে ৯০০ জন। সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি রয়েছে কার্ফু। তা সত্ত্বেও, কলকাতা থেকে জেলা। বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে নিয়মভঙ্গের ছবি। এ নিয়ে নবান্নের কড়া নির্দেশের পর, রাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, রাজ্যের পাশাপাশি ভারতেও বাড়ছে করোনায় তৃতীয় ঢেউ-এর আশঙ্কা। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের বেডেছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।  একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৬৫৪। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ২২ হাজার ২২ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬০৫। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৩৬।