মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মহিলার পচাগলা দেহ ভেসে এল দুর্গাপুর ব্যারেজে। বুধবার দুর্গাপুর ব্যারেজের ৯ নম্বর লকগেটের কাছে এক অপরিচিত মহিলার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। এর পরই খবর দেওয়া হয় বড়জোড়া থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়জোড়া থানার পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় ব্যারেজ থেকে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দিন কয়েক আগে শালতোড়া এলাকায় এক মহিলা দামোদরে জলে তলিয়ে যায়। এটি তারই মৃতদেহ বলে মনে করছে পুলিশ। মৃতার বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদেহটি উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
অন্যদিকে আরও এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে এদিন। বাপের বাড়ির পাশে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ গৃহবধূর দেহ। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের ঘটনা। পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। মৃত গৃহবধূর মা, বাবা ও ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদার শ্বশুরবাড়ি থেকে সম্প্রতি তপনে বাপের বাড়িতে আসেন বছর পঁচিশের এই গৃহবধূ। অভিযোগ, সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। আজ সকালে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শুরু হয় পথ অবরোধ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
উল্লেখ্য, গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে কিছুদিন আগেই। গত ২৪ জুলাই বাদুরিয়ায় শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ গৃহবধূর দেহ। স্থানীয় থানায় গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার। পলাতক অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার সিমলা গ্রামে। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
গৃহবধূর মায়ের দাবি, বছর একুশের মালা খাতুনকে খুন করে ফেলে রেখে পালিয়েছে জামাই লিটন মণ্ডল। মৃতার মা এই বিষয়ে বলেন, ‘বাপের বাড়ি থেকে জামাই মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর এসে জামাই নিজেই জানায় হঠাৎ করে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এই কথায় আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। এর পরই আমরা খুঁজতে যাই। অনেকক্ষণ খোঁজার পরই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মেয়ের দেহ পাওয়া গেছে।’ মৃত গৃহবধূর আত্মীয় এই বিষয়ে বলেন, ‘মেয়ের দেহ থেকে গয়না খুলে নিয়ে মেরে ফেলে রেখে গেছে ওর স্বামী।’