উত্তর ২৪ পরগনা: কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ কাউকে সামলে ওঠার সুযোগটুকুও দিচ্ছে না! তারই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে চূড়ান্ত অব্যবস্থার! 


কোভিডে আক্রান্ত নাকি আক্রান্ত নয়, রিপোর্ট আসার আগেই রেফার রোগের দাপটে এক মহিলার মৃত্যুর অভিযোগে উঠেছে।  তাঁর ছেলেও এখন ভেন্টিলেশনে!


গত ২ দিন ধরে তীব্র মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা লিবিয়া পাত্র। তাঁর অভিযোগ,  বুধবার সন্ধেয় জানতে পারেন, মা ও দাদা - দু’জনেই ভীষণ অসুস্থ। 


তড়িঘড়ি মধ্যমগ্রামের বিবেকানন্দনগরের বাড়িতে পৌঁছন লিবিয়া। তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় মাকে মধ্যমগ্রামের বাড়ি থেকে কলকাতা মেডিক্যালে নিয়ে যান লিবিয়া। 


কিন্তু, তাঁর অভিযোগ, কোভিড ধরা পড়ার আগে, ন্যূনতম চিকিৎসা তো দূর, অক্সিজেনও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।


মৃতের মেয়ের দাবি, মেডিক্যাল কলেজে কিছু হচ্ছে না দেখে তাঁরা চলে যান এনআরএস-এ। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পর দেখা যায়, তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।


বৃহস্পতিবার বেলায় যখন কোভিড রিপোর্ট আসে, ততক্ষণে সব শেষ! রোগিণীর মৃত্যু হয়েছে। অনেক টানাপোড়েনের পর চিকিৎসা শুরু হওয়ায়, মৃতের ছেলেরও অবস্থা ভালো নয়। এনআরএসের কোভিড ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে আছেন তিনি। 


ছেলে এনআরএসের কোভিড ওয়ার্ডে। মা এনআরএস-এর মর্গে। এখন স্ত্রী-কে শেষ বারের জন্য দেখতে চেয়ে এদিন মধ্যমগ্রাম থানার দ্বারস্থ হন বিধ্বস্ত গৃহকর্তা।


হয়রানি, রেফার, বিনা চিকিৎসার যে সব অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারে  কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তরফে বলা হয়েছে, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।


এনআরএস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


অন্যদিকে,  নিমতায় ১৮ ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের দেহ। পরিবারের দাবি, ‘তকাল পরিস্থিতির অবনতি হয়। বিভিন্ন হাসতালে ঘুরেও করা যায়নি ভর্তি। রাস্তাতেই মৃত্যু প্রৌঢ়ের, দেহ ফিরিয়ে আনা হয় বাড়িতে। রাত থেকেই বাড়িতে পড়ে দেহ।’


উত্তর দমদম পুরসভায় জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। বিকেল ৩টেয় খবর পেয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। রাতেই ধাপায় সৎকারের আশ্বাস।