কলকাতা: সঙ্কটকালে যে কোনও প্রশাসন মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়, ভয় ভীতি দূর করে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা করছেন না, বরং করোনা নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, আক্রমণ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দাবি করেন, গুজরাতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে ভ্যাকসিন বিলি হচ্ছে। বাংলা যাতে অক্সিজেন না পায়, সেজন্য উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন ও অক্সিজেন বিলি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে শমীক বলেন, ভারতের কোথাও ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কোনও বৈষম্য করা হয়নি।
কেন্দ্রের উদাসীনতার জন্যই দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। দুর্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল সভায় শুক্রবার মোদি সরকারকে তুলোধনা করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, কেন্দ্রের গাফিলতির জন্য দেশে কোভিডের এই পরিস্থিতি, গত ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, করোনা চলে গেছে, তার মানে তাদের কাছে আইবি বা এক্সপার্টের রিপোর্ট ছিল না। মমতা বলেন, ‘হু’ অক্সিজেন নিয়ে পরিকল্পনা করতে বলেছিল কেন্দ্রকে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে এটা জানাননি। আজ শুনলাম প্রধানমন্ত্রী মিটিং করছেন, আমি আমন্ত্রিত থাকলে যেতাম। অক্সিজেন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বললেন, বাজারে অক্সিজেন, ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় গরিবজদের আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসা করাচ্ছি। অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তাঁকে ডাকা হয়নি বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। এই অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ওঁর কাছে আমন্ত্রণ না গেলে, মুখ্যসচিব জানলেন কীভাবে?
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাকালে রেশন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার । ৮০ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে খাদ্যশস্য। মাসে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেবে কেন্দ্রীয় সরকার । মে-জুন মাসের জন্য রেশন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার ।
জেনে রাখুন : -
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় হেল্পলাইন রাজ্য সরকারের
স্বাস্থ্য দফতরের হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০-৩১৩-৪৪৪-২২২
সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা - ০৩৩-৪০৯০-২৯২৯
কলকাতা পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স - ০৩৩-২২১৯-৭২০২/২২৪১-১২৫৫
টেলিমেডিসিন পরিষেবা - ০৩৩-২৩৫৭-৬০০১
কলকাতা পুরসভা কন্ট্রোলরুম - ০৩৩-২২৮৬-১২১২/১৩১৩
হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর - ৮৩৩৫৯৮৮৮৮৮