কলকাতা: রাজ্যে ফিরল গতবছর মার্চের স্মৃতি! শুক্রবারই নবান্নের তরফে বাজারগুলিতে আংশিক লকডাউনের ঘোষণা করা হয়। 
বলা হয় সকালে শুধুমাত্র ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার।


সেই অনুযায়ী, আজ থেকে রাজ্যে কার্যকর হয়েছে আংশিক লকডাউনের নিয়ম। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে অচিরে অদূর ভবিষ্যতে হয়ত পুরো লকডাউন হতে পারে। 


এই প্রেক্ষিতে, পুরো লকডাউনের বিপক্ষে মতামত জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। জানান, পুরো লকডাউন এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, গতবার লকডাউনে অনেকের ক্ষতি হয়েছিল। ভেঙে পড়েছিল অর্থনীতি। এবার যাতে পুরোপুরি লকডাউন না হয়, তার চেষ্টা করতে হবে।


দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও থাবা বসিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। রাজ্যজুড়ে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। প্রথমবার রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃত্যু হল ৯৬ জনের। করোনা সংক্রমণ রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে একদিনে একসঙ্গে এত মৃত্যু হয়নি!


একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪১১ জন। সংক্রমণে ভয়াবহ পরিস্থিতি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার। পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে কাল সন্ধে থেকে আংশিক লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 


অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে শপিং মল, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, বিউটি পার্লার, স্পা, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও সুইমিং পুল। সকাল-বিকেল মিলিয়ে মাত্র ৫ ঘণ্টা খোলা থাকবে দোকান, বাজার। 


শুধুমাত্র ওষুধের দোকান ও মুদিখানাকে ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে। চালু থাকবে হোম ডেলিভারি। কেনাকাটা করা যাবে অনলাইনে। 


পাশাপাশি, সমস্ত রকম সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা সংক্রান্ত অথবা বিনোদনমূলক জমায়েতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। 


যদিও, অনেক জায়গায় দেখা গেল উল্টো ছবি। কোথাও বাজারের বাইরে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার করছেন জোড়াবাগান থানার পুলিশ কর্মীরা। ভেতরে শিকেয় দূরত্ব বিধি!


কোথাও, ঘড়ির কাটায় দশটা পেরিয়ে গেলেও, কিন্তু তবুও দেদারে চলেছে কেনাকাটা। 


কোথাও পুলিশ এসে দোকান বন্ধ করে। তো কোথাও আবার ব্যবসায়ীরা নিজেরাই একে অপরকে সতর্ক করে দোকান বন্ধ করায়।