পূর্ব বর্ধমান:  প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডেই পড়ে করোনা রোগীর মৃতদেহ। আতঙ্কিত অন্য রোগীরা। কালনা মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা। 


হাসপাতাল সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ৮৬ বছরের ওই রোগিণী শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গতকাল ভর্তি হন। রাত ১১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। 


এরপর থেকে কোভিড ওয়ার্ডেই পড়ে রয়েছে ওই করোনা রোগীর মৃতদেহ। রোগী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিযোগ, হাসপাতাল প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। 


হাসপাতালের সুপারের সাফাই, 'কোভিড প্রোটোকল মানতে গিয়ে দেরি হয়েছে।'


চলতি সপ্তাহে একই চিত্র ধরা পড়ে খাস কলকাতার হাসপাতালে। আমহার্স্ট স্ট্রিটের মারোয়াড়ি হাসপাতালে একই ওয়ার্ডের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীরা, আর তাদের পাশেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকতে দেখা যায় করোনায় মৃতদের দেহ!


একটি নয়, দুটি নয়। একেবারে তিন-তিনটি। মৃতদের পাশেই চলছিল আক্রান্তদের চিকিৎসা। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকায় পচন ধরে মৃতদেহে। দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছিল না। আর সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদে খাবার বয়কট করেন রোগীরা।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল। বেসরকারি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তিন করোনা আক্রান্তের।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তিনজনেরই অবস্থা গুরুতর হওয়ায়, আইসিইউতে ভর্তি করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, সবকটি আইসিইউ বেডই ভর্তি। 


তাই বাধ্য হয়ে জেনারেল বেডেই রেখে দিতে হয় তাঁদের। অভিযোগ, এরপর কার্যত খাবি খেতে খেতেই মৃত্যু হয় তিন রোগীর।


এদিকে, ৬ ঘণ্টা ধরে বন্ধ ফ্ল্যাটেই পড়ে থাকে করোনা রোগীর মৃতদেহ। গড়িয়াহাট থানা এলাকার ১৯ নম্বর ফার্ন রোডের ঘটনা। খবর প্রকাশ্যে আসা আজ শনিবার সকালে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে করোনা আক্রান্ত হন ৪৯ বছরের সন্ধ্যা মাহাতো। ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, গতকাল দুপুর থেকে সাড়া না পেয়ে খবর দেওয়া হয় গড়িয়াহাট থানায়। 


বেশ কয়েকঘণ্টা পর পুলিশ আসে। এরপর প্রায় ৬ ঘণ্টা পর রাতে দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় ওই করোনা রোগীর দেহ। দীর্ঘক্ষণ ধরে দেহ পড়ে থাকায় সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ছে উদ্বেগ।