উত্তর ২৪ পরগনা: ফের অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ। কাঠগড়ায় বেলঘড়িয়ার একটি নার্সিংহোম। যদিও এনিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি কর্তৃপক্ষের। 


দেশে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছে করোনার সংক্রমণ। মৃত্যুর মিছিল চলছে, নিভছে না চিতার আগুন। মৃতদেহ সৎকারের জন্য শ্মশানগুলিতে লম্বা লাইন।


সব মিলিয়ে মারণ ভাইরাসের আক্রমণে ভয়ঙ্কর অবস্থা।  এই যখন পরিস্থিতি, তখন রাজ্যে ফের অক্সিজেনের আকালে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।


রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় বরানগরের বারুইপাড়া লেনের বাসিন্দা কাকলি সরকারের।  বেলঘড়িয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবারের দাবি, পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও রেমডিসিভির না পেয়েই মৃত্যু হয়েছে রোগীনির।


বেলঘড়িয়া থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।  যদিও, এবিষয়ে বারবার ফোন করেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও উত্তর মেলেনি।


অক্সিজেনের অভাবে যখন এক রোগীনির মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে, তখন অক্সিজেন জোগাড় করতেই খাবি খেতে হচ্ছে অনেককে। এই যেমন, হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ঘোষ হাজরা দম্পতি। দু’জনই ভুগছেন শ্বাসকষ্টে।


অক্সিজেনের একটা সিলিন্ডার জোগাড় করতেই রীতিমতো রাতের ঘুম উড়েছে। চিকিৎসক সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাসপাতালগুলিতে তবুও অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু খোলাবাজারে সমস্যা হচ্ছে, আমাদের সবারই প্রিকশন নেওয়া উচিত। 


এদিকে, করোনাকালে অক্সিজেন নিয়ে কোথাও কোনও কালোবাজারি হচ্ছে কিনা, তা দেখতে এদিন চুঁচুড়ার বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালালেন চন্দননগর কমিশনারেটের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসাররা।


ওষুধ ব্যবসায়ী তুষারকান্তি সাহা বলেন, আমরা অক্সিজেন রাখি, ৭দিন ধরে হুহু করে বেড়েছে চাহিদা, জোগান নেই, সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। 


করোনা রোগীদের জিয়নকাঠি অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে জলপাইগুড়িতেও অভিযান শুরু করেছে ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।


তবে কোথাও কোনও কালোবাজারি হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এক অক্সিজেন ডিস্ট্রিবিউটর জানান, সঠিক দামেই সরবরাহ হচ্ছে। 


এদিকে, হাসপাতালে কালোবাজারির অভিযোগ উঠলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।


একে করোনায় রক্ষে নেই, তারওপর অক্সিজেনের আকালে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এই অবস্থায় প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপের আশায় জনসাধারণ।