কলকাতা: ৬ ঘণ্টারও বেশি করোনা রোগীর দেহ পড়ে বাড়িতে। পুরসভা বা স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। হাওড়ার ব্যাঁটরা এলাকার ঘটনা।
মৃতের নাম হরিসাধন ভট্টাচার্য। পরিবারের দাবি, বছর ৫৩-র ওই রোগী সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। বুধবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় গতকাল তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাড়িতে ফিরিয়ে এনে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করে পরিবার।
আজ সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই করোনা রোগীর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও হাওড়া পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতা মেলেনি। বাড়িতেই করোনা রোগীর দেহ পড়ে থাকায় বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।
এদিকে, কোভিড রিপোর্ট না মেলায় তিনদিন ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়ে রইল রোগিণীর মৃতদেহ। অভিযোগ মৃতের পরিবারের। কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সন্তোষপুর সাউথ রোডের বাসিন্দা মিনতি ঘোষ।
পরিবারের দাবি, করোনা পরীক্ষার জন্য বুধবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বছর পঁয়তাল্লিশের ওই রোগিণীর।
অভিযোগ, এরপর তিনদিন কেটে গেলেও মেলেনি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। মৃতদেহ রাখা হয়েছে হাসপাতালের মর্গে। পরিবারের দাবি, প্রথমে বাঘাযতীন হাসপাতাল থেকে নমুনা পাঠানো হয় এম আর বাঙুরে। সেখান থেকে নমুনা পাঠানো হয় এসএসকেএমে।
দুটি হাসপাতাল ঘুরে করোনা রিপোর্ট কবে হাতে আসবে তা জানে না মৃতের পরিবার। যদিও, খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর এদিন দুপুরে আসে করোনা টেস্ট রিপোর্ট। তাতে দেখা যায়, মৃতার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। এরপর এদিন দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, চিকিত্সার গাফিলতিতে করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ। কাঠগড়ায় বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোম। বনহুগলির বাসিন্দা কাকলি সরকার করোনা আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন।
পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে আজ সকালে ওই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। বেলঘরিয়া থানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।