সুনীত হালদার, হাওড়া : জীবিত করোনা রোগীকে  মৃত বলে ঘোষণার অভিযোগ উঠল হাওড়ার ঘুসুড়ির টি এল জাসওয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগে ফেলি মান্না নামে, বছর ৬৫-র মহিলা হাওড়ার জগতবল্লভপুরের  হাটালের বাসিন্দা হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন নিউমোনিয়া সহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে । গত ১৮ এপ্রিল ,  হাওড়া জেলা হাসপাতালে কোভিড পরিক্ষায় তাঁর পজিটিভ  রিপোর্ট আসায় হাওড়ার টি এল জয়েশওয়াল কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। 
 


পরিবারের অভিযোগ,  রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে তাদের বাড়ির লোককে ফোন করে বলা হয় যে ফেলি মান্নার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে তাঁরা দেহ শনাক্তকরণের পর কোভিড প্রটোকল মেনে সৎকার করতে পারে ।


সেইমতো সোমবার সকালে তাঁর বাড়ির লোকজন যখন ওই হাসপাতালে পৌঁছান, তখন কর্মীরা মর্গে এক মহিলার মৃতদেহ দেখায়। দেহ দেখে ওই রোগীর পরিবারের লোকজন কার্যত আঁতকে ওঠেন। তারা জানান, এটা ফেলি মান্নার দেহ নয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাপ দিলে ফেলি মান্নাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়।


তাঁর পরিবারের লোক হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ঢুকে ফেলি মান্নাকে বেডে খুঁজে পায়। তাঁরা ক্যামেরাবন্দি করে সেই ছবি। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে। ফেলি মান্না এখন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানান, ওই রোগীর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবে একটা ভুল হয়েছে। তার জন্য তিনি একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই রোগীকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করার আগে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল চিকিতসকের। তাই বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিছুদিন আগে এই ধরনেরই একটি অভিযোগ ওঠে কলকাতার  ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরিবারের লোকজনদের দাবি,  তাঁদের রোগী মারা গিয়েছেন বলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফোন যায়। পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। গত ১১ এপ্রিল বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই রোগী। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে মর্গে দেহ নিতে যান পরিজনরা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের বলে যে, দেহ দেওয়া যাবে না। কারণ, তাঁদের রোগীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাই দেহ তারা পাবেন না। এরই মধ্যে হাসপাতালের একটি বিল্ডিংয়ের ওপরের বাথরুমের অংশ দেখে এক পরিজনের নাম ধরে ডাকেন ওই রোগী। তিনি চমকে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সঙ্গীদের তা জানান। পুরো ঘটনায় হতবাক হয়ে যান পরিজনরা।