কলকাতা: এবার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বললেন, ‘দেশের ৬৪% ভ্যাকসিন বিদেশে পাঠিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মরে গেলেও এখন ভ্যাকসিন পাবে না মানুষ।’
খোলা বাজার থেকে ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে অনেক দেরিতে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এদিন এই দাবি করে মমতা বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে খোলা বাজার থেকে ভ্যাকসিন কেনায় ছাড়পত্র দিয়েছে। খোলা বাজারে ওষুধের জোগান থাকতে হবে।’
কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা বলেন, ‘দেরিতে ঘোষিত সর্বজনীন ভ্যাকসিন সিদ্ধান্ত কার্যত অন্তঃসারশূন্য। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সঙ্কটের সময় দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই জানিয়েছেন, রাজ্যে অতিরিক্ত ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছেন।
দেশে বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী গতকালই ট্যুইটারে লেখেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যবাসীকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে সমস্তরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাজ্যে অতিরিক্ত ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরপর দু’দিন রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৮ হাজার ছুঁইছুঁই! মৃতের সংখ্যা ২৬ থেকে বেড়ে হল ৩৮! উদ্বেগ চরমে তুলে এই প্রথম রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ২০.১ শতাংশে।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও, এখনই যে লকডাউন হচ্ছে না, তা সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
ইঙ্গিত দেন, করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যেই নাইট কার্ফু চালু হলেও, বাংলায় সেই সম্ভাবনা এখনই নেই। তিনি বলেন, কারফিউ কোনও সমাধান নয়। রাত্রিকালীন কার্ফু করে কিছু হবে না।
করোনা মোকাবিলায় কী করণীয়, তারই উপায় বাতলাতে কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল রাজ্য সরকার।
পরিস্থিতি সামলাতে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে গতবারের চেয়েও করোনার জন্য ২৫-৩০ শতাংশ বেড বাড়াতে বলল রাজ্য সরকার। জরুরি নয়, এমন অস্ত্রোপচার আগামী ১৫ দিন হবে না।
পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে সম্পূর্ণরুপে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে।