বালুরঘাট ও কলকাতা:   বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগের ভিত্তিতে হওয়া মামলায় শর্তসাপেক্ষে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল বালুরঘাট আদালত।


তদন্তে সিআইডি-কে সবরকম সহযোগিতা করার জন্য ঋতব্রতকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কোথাও যেতে গেলে, সেটাও সিআইডিকে জানিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এর আগে ৩১ অক্টোবর এই মামলার শুনানির কথা থাকলেও, সেদিন সিআইডির তদন্তকারী অফিসার দিল্লিতে থাকায় কেস ডায়েরি জমা দেওয়া যায়নি আদালতে। পিছিয়ে যায় শুনানি। আজ সেই মামলায় সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত, রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আর্জির তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। পাল্টা জোরাল সওয়াল করেন ঋতব্রতর আইনজীবী। দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে শর্তসাপেক্ষে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বালুরঘাট আদালত।



সিপিআইএম-র বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি চালক রবিন বৈরাগীকে তলব ভবানীভবনে। দ্বিতীয় দফায় রবিনকে শুক্রবার সকালে ডেকে পাঠায় সিআইডি। দুপুরে ভবানী ভবনে রবিন পৌঁছোলে তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, বহিষ্কৃত সাংসদের গতিবিধি সংক্রান্ত নানা তথ্য রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা সম্ভব। বালুরঘাটের তরুণীর দায়ের করা অভিযোগ সম্পর্কেও রবিন তথ্য সূত্রে দিতে পারবেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। এর আগে বুধবার ঋতব্রতর বান্ধবী দূর্বা সেন ও গাড়ি চালক রবিনকে ভবানীভবনে ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। ওইদিন একপ্রস্থ জেরার পর শুক্রবার ফের ডেকে পাঠানো হয় রবিনকে।