ফালাকাটা: গোটা রাজ্য জুড়েই নজর কেরেছে রেড ভলেন্টিয়ার্সের পরিষেবা। রেড ভলান্টিয়ার্সদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের ফালাকাটার ব্লক সম্পাদক। পেশায় পার্শ্বশিক্ষক অভিজিৎ রায় রেড ভলান্টিয়ার্সদের হাতে তুলে দিলেন, এক মাসের বেতন।


সকাল হোক বা রাত। ভয়ঙ্কর সঙ্কটকালে মানুষের কাছে। মানুষের পাশে। কখনও সিলিন্ডার কাঁধে। কখনও পিপিই পরে। করোনা রোগীদের পাঁশে দাঁড়াচ্ছে রেড ভলান্টিয়ার্সরা। করোনা আক্রান্ত বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া থেকে, সংক্রমিতদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া।


জেলায় জেলায়, পথে নেমেছেন লাল স্বেচ্ছাসেবকরা। কিন্তু, লড়াই যেখানে জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর, সেখানে রাজনীতি তো বড় হতে পারে না। এই বার্তা দিয়ে এবার লাল বাহিনীর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের ফালাকাটার ব্লক সম্পাদক। পেশায় পার্শ্বশিক্ষক অভিজিৎ রায় রেড ভলান্টিয়ার্সদের হাতে তুলে দিলেন, এক মাসের বেতন। মানুষকে ভালবাসার, বিপদে পাশে দাঁড়ানোর সেই কর্তব্যই পালন করছেন এই মানুষগুলো। 


অভিজিতের কথায়, এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষ এদের কাছ থেকে অনেকটাই পাচ্ছে। তাই ওদের সাহায্য করার ভাবনা এল। অন্য রাজনৈতিক দল হলেও ভাল কাজের প্রশংসা করব না এমন রাজনৈতিক শিক্ষা নেই। তাই এক মাসের সান্মানিক চেকের মাধ্যমে তুলে দিয়েছি, যা সঠিক কাজেই লাগবে। এই কাজে পরিবারও উৎসাহ জুগিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 


রেড ভলেন্টিয়ার্স সদস্য তথা জেলা ডিওয়াইএফআই-এর সভাপতি বাপন ঘোষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা অভিজিৎ রায়কে। তিনি বলেন, 'নির্বাচনে হারি বা জিতি, মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলাম। সেই লক্ষ্যেই দলমত নির্বিশেষে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাড়াচ্ছি। সেটাকেই কুর্নিশ জানিয়ে তৃনমূল কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। তাঁকেও কুর্নিশ, অভিনন্দন জানিয়েছেন ডিওয়াইএফআই সভাপতি।


জানা গিয়েছিল, দীর্ঘক্ষণ ঘরে একা পড়েছিলেন এক বৃদ্ধা। তাঁর মেয়ে সাঁকরাইল  পঞ্চায়েতের তৃনমূল সদস্য হলেও কারও থেকেই কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। 
কোভিড সন্দেহে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি প্রতিবেশীরাও।


অভিযোগ, বৃদ্ধার মেয়ে শতাব্দি ঘোষ বারবার প্রতিবেশী এবং স্বাস্থ্য দফতরে জানালেও কোনও সাহায্য পাননি।  এরপর বুধবারে শতাব্দি ঘোষ নিজে রেড ভলান্টিয়ারদের দক্ষিণ হাওড়া এরিয়া কমিটিতে ফোন করেন। ওই সদস্যরা পিপিই পরে চলে আসে বাড়িতে। ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলেন। তারপর তাঁকে ভর্তি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।