দার্জিলিং,মোহন প্রসাদ: করোনার সংক্রমণ সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসতেই ও করোনাজনিত বিধিনিষেধ সামান্য শিথিল হওয়ার পরই বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভিড় বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পর্যটকদের মধ্যে করোনা বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দিঘার পর এবার দার্জিলিঙে পর্যটক-প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি হল।


ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ না নিলে দার্জিলিঙে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। দার্জিলিংয়ে ঢুকতে গেলে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বা আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। ৭২ ঘণ্টা আগের আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। দুটির মধ্যে একটি না থাকলে, হোটেল বা হোম স্টে-তে ঢোকা যাবে না। এমনই নির্দেশ জারি করেছেন  দার্জিলিঙের জেলাশাসক।


এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমনিতেও এ ধরনের বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে হোটেলে রুম ভাড়া নিতে হলে থাকতে হবে কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট। অথবা নিতে হবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। তবেই মিলবে রুম নইলে নয়।


দেশে এখনও কমেনি করোনার ভয়াবহতা।  তবে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে যে সচেতনতার লেশ মাত্র নেই, তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুরের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলি। সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই করোনাবিধি উড়িয়ে সমুদ্র সৈকতে দেদার ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ পর্যটকদের। রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় ধরা পড়েছে উইকএন্ডের পুরনো চেনা ছবি। পর্যটকদের আনাগোনায় রীতিমতো গমগম করছে দিঘা। কোভিড বিধি অমান্য করেই সৈকতে ঘুরছেন পর্যটকদের বড় অংশ। অধিকাংশ পর্যটকেরই নেই মাস্ক। কার্যত গা ঘেঁষাঘেঁষি করে চলছে সমুদ্রস্নান। এই অবস্থায় সচেতনতায় জোর দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। পর্যটকদের হোটেলে থাকার জন্য জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ ।হোটেল মালিকদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, কোনও পর্যটককে রুম ভাড়া দেওয়ার আগে তাঁর কোভিড টেস্ট নেগেটিভ কিনা দেখতে হবে। অথবা, কারও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে, তাঁকে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে।দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, নতুন নির্দেশিকা এসেছে, সেই অনুযায়ী রুম ভাড়া দেওয়া হবে। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে সমুদ্র সৈকতগুলিতে স্যানিটাইজেশন শুরু হয়েছে।  দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণকুমার জানা জানান, মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে। নতুন বিধির কথা সমস্ত হোটেল মালিককে পাঠানো হয়েছে। ব্লক প্রশাসন ও থানাকেও জানানো হয়েছে। যাতে কঠোরভাবে এই নিয়ম পালন হয়।