রানা দাস, মঙ্গলকোট (পূর্ব বর্ধমান): মঙ্গলকোটে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিশের। সোমবার রাতে, বাইকে চেপে ফেরার সময়, গুলি করে খুন করা হয়, তৃণমূলের লাকুড়িয়া অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে। পরিবারের দাবি, এবারই প্রথম নয়, আগেও একাধিকবার তাঁকে টার্গেট করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে খুনের তদন্তে সিট গঠন করেছে জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও থাকবেন তদন্তকারী দলে। থাকবেন মঙ্গলকোট থানার বর্তমান ও ২ প্রাক্তন আইসি।


তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি খুন? সিন্ডিকেট-রাজের প্রতিবাদ করাতেই কি হামলা? কয়লা, গরু পাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলেই কি অকালে চলে যেতে হল? পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় এমনই নানা প্রশ্ন নিহতের পরিবারের। মৃত তৃণমূল নেতার মামা সুবোধ মিত্র আগেই জানিয়েছেন, "আগে ২ বার প্রাণে মারার চেষ্টা হয়। ২০১৭-র শুরুর দিকে একবার। রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঘিরে ফেলে। লোকাল পুলিশ হেল্প করেনি। সুরজিত্‍ কর পুরকায়স্থকে ফোন করি। র্যাফ পাঠান। ২০১৭-র শেষের দিকে আবার মারে। হাত-পা ভেঙে দেয়। তৃণমূলের তখনকার বিধায়ক, অঞ্চল সভাপতির যোগ ছিল।" এবার এই মৃত্যুর তদন্ত করতে সিট গঠন করল জেলা পুলিশ। 


ইতিমধ্যে এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি তরজা। তৃণমূলের অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, পাল্টা দাবি বিজেপির। মঙ্গলবার সকালে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আত্মীয়, প্রতিবেশীরা। মঙ্গলকোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইব্রাহিম খান বলেন, বিজেপি করেছে। পরে অবশ্য তিনি বলেন,  যাঁরা করেছে, তাঁদের কোনও দল নেই। হামলাকারীরা কোনও দল হয় না। পুলিশ তো খুঁজবেই। জেলার বিজেপি সহ সভাপতি অনিল দত্ত বলেন, আমরা প্রথমেই বলে আসছি এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পরিবারও তাই বলছে। ইতিমধ্যে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিজেপির দাবি, আটক প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।