রঞ্জিত হালদার, ভাঙড়: উদ্বোধনের ঠিক আগের মুহূর্তে ভাঙচুর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের সেফ হোমে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে স্থানীয়দের হাত।

Continues below advertisement


প্রথমে বাধা, তারপর কথা কাটাকাটি, এরপর ভাঙচুর। উদ্বোধনের আগেই তছনছ হয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাঠালিয়ার সেফ হোম। করোনা আবহে সেফ হোমটি তৈরি করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সূত্রের খবর,আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়-সহ একাধিক তারকা। শনিবারই উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল সেফ হোমটির। কিন্তু তার আগেই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে গেল।


স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির ডিরেক্টর এমএ ওয়াহাবের দাবি, ‘শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। সেফ হোমের ভিতরে গিয়ে ওরা ভাঙচুর চালিয়েছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে।’


অভিনেতা অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এরকম সেবামূলক কাজে রাজনৈতিক রং না লাগলেই ভাল হত। সেবামূলক কাজ রাজনীতির ঊর্ধ্বে।’


তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভোগালি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাসসর হোসেনের দাবি, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। ওই এলাকা জনবসতিপূর্ণ। এলাকায় লোকজনই এই কাজ করেছে।’


এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।


গতকাল স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনায় ৮১ জনের মৃত্যু। রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪ হাজার ২৮৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত ৬৯৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ৪০১ জন। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশ। 


এই পরিস্থিতিতে সেফ হোমে ভাঙচুর একেবারেই কাম্য নয়। করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর বহু মানুষ ত্রাণ বিলি করতে এগিয়ে আসছেন। সেখানে সেবামূলক কাজের সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে না পড়লেই ভাল হয়, বলছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।