পশ্চিম মেদিনীপুর: সিপিএম নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার খয়রুল্লা চকে। নিহত সিপিএম নেতার নাম গৌতম মিত্র।
পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার তিনি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। খয়রুল্লা চকে আচমকাই তাঁর ওপর চড়াও হন তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ কর্মকার এবং তাঁর এক সঙ্গী। অভিযোগ, গৌতম মিত্রকে তাঁরা ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেন। তারপর লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
গুরুতর জখম অবস্থায় সিপিএম নেতাকে প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বুধবার রাতে এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কিন্তু, সিপিএম নেতার ওপর এই হামলার কারণ কী? অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আম পাড়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী বিবাদ। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সম্প্রতি আম পাড়া নিয়ে তৃণমূলের দুই নেতা বিশ্বজিৎ কর্মকার এবং শম্ভু দে-র মধ্যে বিবাদ বাধে। বিশ্বজিৎ শম্ভুকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ।
এরপর শম্ভুকে নিয়ে থানায় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে যান সিপিএম নেতা গৌতম মিত্র। অভিযোগ, এই রাগেই বিশ্বজিৎ কর্মকার সিপিএম নেতার ওপর হামলা চালান। তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ সহ দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নিহত সিপিএম নেতার পরিবার।
বৃহস্পতিবার বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। দরজায় তালা ঝুলছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতির অবশ্য দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এই ঘটনায় পুলিশ প্রথমে অভিযোগও নিতে চায়নি।
যদিও, কোতোয়ালি থানার আইসি সুশান্ত রাজবংশীর দাবি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পরিবার যখন এসেছে, তখনই অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।