কলকাতা: দক্ষিণেশ্বরে গঙ্গার ওপর বিপজ্জনকভাবে ঝুঁকে রয়েছে রেলের পরিত্যক্ত বাড়ি। তার জেরে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দক্ষিণেশ্বর-বেলুড় মঠ ফেরি পরিষেবা। রেলের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে কামারহাটি পুরসভা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।


ইটের পাঁজর ফাটিয়ে বেরিয়ে এসেছে গাছের ঝুরি। শুধুমাত্র টিকে রয়েছে জরাজীর্ণ কাঠামোটা। তবে সেটাও বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে। পাশেই জেটিঘাট। বিপদের সম্ভাবনা আঁচ করে। এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ ফেরি চলাচল। 


২০২০-র ২০ মে, রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল আমফান। ঝড়ের ধাক্কায় দক্ষিণেশ্বরে বালি ব্রিজ লাগোয়া রেলের এই পরিত্যক্ত বাড়িটি হেলে পড়ে। পাশেই মা ভবতারিণী জেটিঘাট। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে যায় দক্ষিণেশ্বর-বেলুড় মঠ ফেরি চলাচল। 


ফেরিঘাটের কর্মী প্রশান্ত দাস বলছেন, আমফানের সময় বাড়িটা ভেঙে জেটিঘাটের ওপর হেলে পড়ে। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। সেই কারণে এক বছর ধরে বন্ধ ফেরি সার্ভিস। 


আশেপাশের বাসিন্দারাও আতঙ্কিত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন,পাশেই থাকি। বাড়িটা ভেঙে পড়লে আমাদের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আতঙ্কে আছি। দক্ষিণেশ্বরের এই ফেরিঘাট কামারহাটি পুরসভার অন্তর্গত। পুরসভার দাবি, বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য রেলকে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।  


কামারহাটি পুরসভার প্রশাসক গোপাল সাহা জানিয়েছেন, " বিপজ্জনকভাবে রয়েছে রেলের বাড়িটা। একাধিকবার রেলকে চিঠি দিয়েছি। কিছু করছে না। ' পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। এতদিন ধরে বাড়িটা বিপজ্জনকভাবে রয়েছে। পরিষেবা বন্ধ বলে অসুবিধাও হচ্ছে...কবে সমস্যা মিটবে তা জানা নেই।


উল্লেখ্য, কালীঘাটের পর এবার কাল থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। করোনাবিধি মেনে সকাল ও বিকেল মিলিয়ে মোট সাত ঘণ্টা খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা। বৃহস্পতিবার জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যেই কাল খুলে দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। করোনা বিধি মেনে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। বিকেল সাড়ে ৩টে থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি থাকছে। যদিও মন্দিরে প্রবেশ করতে সমস্ত করোনা বিধি মেনে চলতে হবে ভক্তদের।