কলকাতা : রাজ্যে এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল। ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখবে ৭ সদস্যের ওই দলটি। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন রাজীব জৈন। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রতিনিধিরা। এনিয়ে আজ সরব হলেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায়। তিনি বলেন, "রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ব্যাপারে কিছু ত্রুটি হলে দেখার দায়িত্ব রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের। আমরা জানি না কেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। আমার মনে হয়, এটা রাজ্যের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করা।"
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গত ১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে। তারা এরাজ্যে এসে গোটা প্রক্রিয়াটা অনুসন্ধান করে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে এই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের কাছেই আবেদন করা হয়েছিল। যদিও গত সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দিল্লি সফরের আগে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে যান তিনি। চিঠিতে রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা, রক্তপাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন থামছে না। নারী নির্যাতন, বিরোধীদের সম্পত্তি ধ্বংস হয়েই চলছে। অথচ, এই নিয়ে আপনি আশ্চর্যজনকভাবে নীরব এবং নিষ্ক্রিয়। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণের পরেও, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় একদিনও এ ব্যাপারে আলোচনা করেননি। এর পর উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েও বাগডোগরায় এনিয়ে সরব হন তিনি।