মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং : পর্যটকদের কাছে নতুন উপহার নিয়ে হাজির দার্জিলিং। স্থানীয়দের ভাষায় 'আসালি' জলপ্রপাত। শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে মেরেকেটে চার ঘণ্টার দূরত্বে। ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া মিরিকে অবস্থিত এই জলপ্রপাত দেখতে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু জলপ্রপাতের শ্বেতশুভ্র জল দেখার টানে কাঁচা-পাকা রাস্তার গণ্ডি টপকে হাজির হচ্ছেন অনেকেই। দার্জিলিং আসার পরিকল্পনা থাকলে এই সুন্দর পাহাড়ি জলপ্রপাত দেখার পরিকল্পনা ট্যুর-প্ল্যানে যোগ করে নিতেই পারেন। শিলিগুড়ি থেকে মেরে-কেটে ঘণ্টা চারেক লাগবে পৌঁছতে। বাড়তে থাকা পর্যটক উৎসাহ দেখে স্থানীয় প্রশাসনেরও পরিকল্পনা, ভালো রাস্তা তৈরি করে যোগাযোগের ব্যবস্থা আরও উন্নত করার।
ইন্দো-নেপাল সীমান্তের মিরিক সাব ডিভিশনের অন্তর্গত সৌরেনি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে জলপ্রপাতটি। শিলিগুড়ি থেকে মিরিক যাওয়ার পথে ফুগাড়ি হাই স্কুল বা ফুগাড়ি চা বাগান থেকে পাহাড়ি পথে ৯ কিলোমিটার নিচে নামলে অবস্থিত খারবানি গ্রামে রয়েছে এই জলপ্রপাত। যা গিয়ে মিশেছে ভারত-নেপাল সীমান্ত ঘেঁসে চলা মেছি নদীতে।
কীভাবে পৌঁছবেন আসালি জলপ্রপাত
শিলিগুড়ি থেকে মিরিক যাওয়ার রাস্তা ধরে এগিয়ে থামতে হবে ফুগাড়ি হাই স্কুল বা ফুগাড়ি চা বাগানে। যে রাস্তা যেতে মোটামুটি ঘণ্টা দেড়েক থেকে দু'ঘণ্টা সময় লাগে।
এবার ফুগাড়ি হাই স্কুল বা ফুগাড়ি চা বাগান থেকে পাহাড়ি পথ বেয়ে ৯ কিলোমিটার নিচে নামলে অবস্থিত খারবানি গ্রামে পৌঁছতে হবে। তবে এই রাস্তাটি এখনও পাকা নয়। কাঁচা মাটির রাস্তা প্রায় পুরোটাই। গাড়ি করে বেশ কিছুটা যাওয়া গেলেও প্রয়োজনে কিছুটা হাঁটা পথ পাড়ি দিতে হবে। এই দূরত্ব যেতে সময় লাগবে মোটামুটি ঘণ্টাখানেক।
আপাতত বেশিরভাগ অফ-রোড পর্যটকরাই গেলেও ক্রমশ সেই ভিড় উর্ধ্বমুখী। আর যা দেখেই নতুন চিন্তাভাবনা স্থানীয় প্রশাসনের। তাদের ভাবনা ফুগাড়ি হাই স্কুল বা ফুগাড়ি চা বাগান থেকে ৯ কিলোমিটার নিচে নামলে অবস্থিত খারবানি গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করার। যাতে আরও বেশি পর্যটকরা পৌঁছতে পারেন দার্জিলিংয়ের এই নতুন ট্রাভেল ডেস্টিনেশনে।